ফলে ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফাইবার তো আছে-ই, সঙ্গে যথেষ্ট পরিমাণ প্রোটিনও রয়েছে। বিশেষ করে যারা নিরামিষাশী তাদের জন্য প্রোটিনের অন্যতম উৎস হতে পারে ফল-ফলাদি।
মেডিকেল সাইন্স অনুযায়ী, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দিনে প্রতি কেজি ওজনের বিপরীতে ০.৮ গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন হয়। যেমন ৭০ কেজি ওজনের একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দিনে ৫৬ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা উচিৎ। তবে ওজন এবং দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের উপর নির্ভর করে আসলে একজন ব্যক্তির কতটুকু প্রোটিন দরকার।
আর এই প্রোটিনের উৎস হিসেবে আপনার ডায়েটে ফলের সংযোজন একের ভেতর অনেক উপকার করবে। পেয়ারা, আভোকাডো, কলা, কাঁঠাল-এ চারটি ফল খেলে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে প্রোটিন পেতে পারেন।
পেয়ারা: পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। এক কাপ পেয়ারায় প্রায় ৪.২ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। এছাড়া ভিটামিন-সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফাইবার তো রয়েছেই।
আভোকাডো: এক কাপ আভাকাডো খেলে অন্তত ৩ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। এছাড়া হেলদি ফ্যাট, পটাশিয়াম ও ফাইবারের উপস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যসচেতনদের মধ্যে আভোকাডোর চাহিদা বেশি।
কলা: কলা মূলত প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়ামের জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও ভিটামিন বি৬ ও ফাইবারের উপস্থিতি কলার পুষ্টিগুণ বাড়িয়েছে। অন্য ফলের তুলনায় কলায় প্রোটিন তুলমামূলক কম। কলার প্রতি কাপে অন্তত ১.৩ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়।
কাঁঠাল: কাঁঠালেও প্রোটিনের উপস্থিতি রয়েছে। এক কাপ কাঁঠালে মিলবে ২.৪ গ্রাম প্রোটিন। এছাড়াও কাঁঠালে রয়েছে ফাইবার, পটাশিয়াম ও ভিটামিন-সি।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া