সিলেট নগরীর একটি হোস্টেল থেকে শর্মী রানী নাথ (২০) নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বিকেলে নগরীর টিলাগড় এলাকার সৈয়দ মঞ্জিল নামক ৬ তলা ভবনের ২য় তলায় শয়নকক্ষে সিলিং ফ্যানের রডের সাথে রশি বেঁধে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রেমের সম্পর্কের অবনতির জেরে শর্মী রানী নাথ (২০) আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা পুলিশের। আত্মহত্যার কারণ খুঁজতে গিয়ে এক তরুণের সঙ্গে থাকা সম্পর্কের বিষয়টি পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।
আজ শুক্রবার (৩ মার্চ) এমন তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন, শর্মীর সঙ্গে এক তরুণের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আত্মহত্যার আগের কয়েকদিন বিষন্ন ছিলেন শর্মী। কারো সঙ্গে তেমন কথাও বলতেন না। রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমাতেন। বৃহস্পতিবার মরদেহ উদ্ধারের সময় শর্মীর বিছানা থেকে ১০টি ঘুমের ওষুধও পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় বাবা অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। শুক্রবার (৩ মার্চ) বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ সৎকারের জন্য স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শর্মী সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জালালপুরের সতেন্দ্র চন্দ্র নাথের মেয়ে ও মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তিনি বছরখানেক ধরে নগরীর টিলাগড় এলাকায় ওই নারী হোস্টেলের ২য় তলায় ভাড়া থাকতেন।