সিলেটের কানাইঘাটে এক ফ্রান্স প্রবাসী রেজিষ্ট্রি মূলে খরিদকৃত দখলীয় কোটি টাকা মূল্যের ভূমি জোরপূর্বক ভাবে জবর দখল করতে না পেরে মামলা দিয়ে হয়রানী, ভবনের নির্মাণ কাজে বাঁধা প্রদান ও ভাংচুর, মোটা অংকের টাকা দাবী সহ প্রাণ নাশের হুমকির ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় কানাইঘাট প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কানাইঘাট লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের মৃত আছদ আলীর পুত্র মাহমুদ আলী লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, তার আপন ছোট ভাই তাহের হোসেন (তাহির আলী) বর্তমানে ফ্রান্স প্রবাসী। পৃথক দুটি দলিল মূলে পৌরসভার ডালাইচর মৌজায় কানাইঘাট উত্তর বাজারে ৬ শতক ভূমি ক্রয় করে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখল, খাজনা পরিশোধ সহ জমির যাবতীয় কাগজপত্র আমার ভাইয়ের নিজ নামে রয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে মাহমুদ আলী আরো বলেন, ভাইয়ের অবর্তমানে তার খরিদা সম্পত্তি তিনি দেখাশোনা করে আসছেন। ২০০৬ সালের প্রথম দিকে খরিদকৃত জায়গার উপর ৪তলা বিল্ডিং নির্মাণের জন্য বেইস, পায়া লিন্টার করার পর গত বছরের জুন মাসে ফ্রান্স থেকে দেশে এসে তার ভাই তাহের হোসেন (তাহির আলী) ৪ তলা ভবনের কাজ শুরু করার মাস খানেক পর হঠাৎ করে বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত মাহমুদ আলীর ছেলে এলাকায় যার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে আলিম উদ্দিন বিন আলী রাজা তার ভাই নিজাম ও বোন জামাই আনিসুর রহমান সহ আরো কয়েকজন এসে নির্মাণ কাজে বাঁধা প্রদান করে। তারা আমার ভাইয়ের খরিদকৃত ভূমি নিজের বলে দাবী করলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আলিম উদ্দিন গংরা ভূমির মালিকানার কোন ধরনের কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
একপর্যায়ে তারা ১২ লক্ষ টাকা দাবী করে বলে উক্ত টাকা পরিশোধ করলে তারা আর ভবন নির্মাণ কাজে বাঁধা দিবে না। তাদের দাবীকৃত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করার পর থেকে আমার ভাইয়ের ৪ তলা ভবনের নির্মাণ কাজে বার বার বাঁধা প্রদান, ভাংচুর, ক্ষতিসাধন সহ আমাকে বার বার প্রাণ নাশের হুমকি দিতে থাকে তারা। একপর্যায়ে আনিসুর রহমান আমি ও আমার ফ্রান্স প্রবাসী ভাই সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে সিলেটের আদালতে কানাইঘাট বিবিধ মামলা নং- ৯৩/২০২১ইং দায়ের করলে আমি উচ্চ আদালতে রীট পিটিশন মামলা করলে আদালত ৬ মাসের জন্য মামলা স্থগিত করেন। এরপর আনিসুর রহমানের দায়েরকৃত দরখাস্ত মামলা আদালত কানাইঘাট থানায় তদন্তের জন্য প্রেরণ করলে আমি আমার ভাইয়ের খরিদা ভূমির যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে থানায় হাজির হলেও অভিযোগের বাদী আনিসুর রহমান, আলিম উদ্দিন আলী রাজা সহ দুই দফায় থানায় উপস্থিত না হইয়া তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ভূমির মালিকানার কোন ধরনের কাগজপত্র দেখাতে না পারলে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা আদালতে আমার ভাইয়ের পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর থেকে আলিম উদ্দিন বিন আলী রাজা গংরা থানা পুলিশ এবং আমি সহ আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বর্তমানে মিথ্যা মামলা দায়ের সহ অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।
এমতাবস্থায় মাহমুদ আলী তার ফ্রান্স প্রবাসী ভাই তাহের হোসেন (তাহির আলীর) খরিদা সম্পত্তি রক্ষা সহ ভবন নির্মাণ কাজে বাঁধা প্রদানকারী ও নানাভাবে প্রাণ নাশের হুমকিদাতা, মিথ্যা মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানীকারী আলিম উদ্দিন বিন আলী রাজা গংদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিলেটের পুলিশ প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ফ্রান্স প্রবাসী তাহির আলীর আত্মীয় স্বজন সহ এলাকাবাসীর মধ্যে ওমর আলী, আব্দুল হক, মানিক উদ্দিন, আব্দুরব মিয়া, আমির আলী, হানিফ আলী, জাহাঙ্গীর আলম, পারভেজ আহমদ, তুহিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুবেল আহমদ।