প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত দুই বছরে পথে-ফুটপাতে থাকা ১০ লাখ মানুষকে ঘরে তুলেছেন। করেছেন ভূমির মালিক। এর আগে ১৯৯৬ সালে প্রথমরাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যে বীর নিবাস ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে আশ্রয়হীনদের জন্যে ৭ লাখ ঘর তৈরি করে দেন।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার পুটিজুরি এলাকায় একটি রিসোর্টে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দশ উদ্ভাবনী উদ্যোগ বিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
জ্যেষ্ঠ এই সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা যে পরিকল্পনা দেন তা বাস্তবায়ন করেন। তাই বাংলাদেশে সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন হচ্ছে। দ্রুতহারে কমছে দারিদ্র। প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, দেশে পর্যাপ্ত রিজার্ভ রয়েছে। মনুষ্যসৃষ্ট নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হওয়ার কোন আশংকা নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের মানবিক দিক নিশ্চিত করেছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, পুলিশের উপ মহাপরিদর্শক মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ পিপিএম। তিনি বলেন, সিলেট অঞ্চলের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বহু পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কেবল চা শ্রমিকদের প্রত্যাশা পূরণ করেন নি- এই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কথা বলে ঘর ও ভূমির অধিকার দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছেন।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন কর্মশালার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে একশ বছরের পরিকল্পনা দিয়েছেন। বিশ্বে এমন নজির আর নেই।
কর্মশালায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দশ উদ্ভাবনী উদ্যোগ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, আশ্রয়ণ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, নারীর ক্ষমতায়ন, আমার বাড়ি আমার খামার, সবার জন্য বিদ্যুৎ, বিনিয়োগ বিকাশ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও শিশু বিকাশ, পরিবেশ সুরক্ষা ও শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি বিষয়ক সম্ভাবনা, উদ্যোগ ও প্রচারসংক্রান্ত দলীয় আলোচনার ফলাফল তুলে ধরেন।
সিলেটের জেলাপ্রশাসক মো. মজিবর রহমান, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইসরাত জাহান, সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আনোয়ার সাদাত, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির, বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ডের পরিচালক জুলিয়া যেসমিন মিলি, বিভাগীয় স্বাস্থ্য কার্যালয়ের পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. এমরান হোসেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সিলেট অঞ্চলের উপপরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীর আহাম্মদ।
এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার পক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট মহানগর ইউনিটের সাবেক কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মণ রানা, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন ও সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় সিলেট বিভাগের বীর মুক্তিযোদ্ধা, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রায় একশ প্রতিনিধি অংশ নেন।