আ. লীগের শেকড় অনেক গভীর, হাঁটু ভাঙবে না: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এই মাটিতে জন্ম বলে আওয়ামী লীগের শেকড় অনেক গভীর। আওয়ামী লীগের হাঁটু ভাঙবে না। এই মাটিতে যার জন্ম তার কোমর ভাঙবে না।

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির আলোচনা সভা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্রছাত্রীর মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। বাংলা একাডেমির অডিটরিয়ামে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি গত পরশুদিন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে বলেছিলাম কোমর ভাঙা বিএনপি, হাঁটু ভাঙা বিএনপি লাঠির ওপর ভর করেছে। দেখলাম বিএনপির ফখরুল সাহেব তার জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন আওয়ামী লীগের নাকি হাঁটু ভেঙে গেছে। মির্জা ফখরুল হয় তো ভুলে গেছেন এটা আমার কথা না। তাদের থিংক ট্যাংক গণস্বাস্থ্যের জাফরউল্লাহ চৌধুরী এ কথা বলেছেন। বার বার বলেছেন কোমর ভাঙা বিএনপি, হাঁটু ভাঙা বিএনপি। আমি তাদের কথাই স্মরণ করিয়ে দিলাম, হাঁটু ভাঙা দল লাঠির ওপর ভর করেছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের(আওয়ামী লীগ) হাটু ভাঙবে না, কোমর ভাঙবে না। আওয়ামী লীগের জন্ম এই মাটিতে। আওয়ামী লীগ এই মাটি থেকে উঠে আসা দল। আমাদের শিকড় অনেক গভীরে। এই মাটিতে যার জন্ম তার কোমর ভাঙবে না। আমি ভুল করিনি, ফখরুল সাহেব ভুল করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অবদান তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্যোগে আলো হাতে আমাদের সবার বর্ণিল ঠিকানা শেখ হাসিনা। তিনি ধ্বংসস্তূপের ওপর বার বার সৃষ্টির পতাকা উড়িয়েছেন। ১৩ বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক নয়। এদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার করা কি সহজ ছিল। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করে আমাদের পাপ মোচন করেছেন। জনগণের কল্যাণ, ভাগ্য উন্নয়নের জন্যই শেখ হাসিনার জন্ম হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য আব্দুর রহমান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা, আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুর নানাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্য সচিব সুজিত রায় নদ্দী, কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ।