প্রথম ম্যাচেই নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়লেন সাকিব

আইসিসির টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪-এর নবম আসর শুরু হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-যুক্তরাষ্ট্রে। আর  এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে মাঠে নেমেই বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন সাকিব আল হাসান। সেটি হচ্ছে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সব আসরে অংশ নিয়েছেন সাকিব। এর আগে রোহিত শর্মা আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমেই সেই রেকর্ডের প্রথম ভাগ বসান।

২০০৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত আটটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাত্র দুজন ক্রিকেটার সব ম্যাচে অংশ নিয়েছেন। সেখানে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাঠে নামা ক্রিকেটারদের মধ্যে সাকিব আল হাসান হলেন দ্বিতীয় ক্রিকেটার। রোহিত শর্মা ও সাকিব আল হাসান— এই দুজনের দখলে রয়েছে ক্রিকেটের দুর্দান্ত এক বিশ্বরেকর্ড।

একজন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। অপরজন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। রোহিত ও সাকিব এবার সবকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করলেন।

তালিকায় যুগ্মভাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বাংলাদেশের মাহমুদউল্লাহ, অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল ও ডুয়ানে ব্রাভো। মাহমুদউল্লাহ ও ওয়ার্নার এই বিশ্বকাপেও আছেন। এটি তাদের ক্যারিয়ারের অষ্টম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।

এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ক্রিকেটারদের তালিকায় প্রথম সারিতে রয়েছেন রোহিত ও সাকিব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড রয়েছে রোহিতের দখলে। তিনি ২০ ওভারের বিশ্বকাপে ৪০টি ম্যাচ খেলেছেন। দ্বিতীয় স্থানে সাকিব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৩৭টি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন তিনি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান করা ব্যাটসম্যানদের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন রোহিত (১,০১৫) রান। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া বোলারদের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছেন সাকিব (৪৭টি উইকেট)। সাকিবের এ হিসাব অবশ্য আজকের শ্রীলংকা ম্যাচের আগে।

সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন যেসব তারকা
১. রোহিত শর্মা : নয়টি (২০০৭, ২০০৯, ২০১০, ২০১২, ২০১৪, ২০১৬, ২০২১, ২০২২ ও ২০২৪)।
২. সাকিব আল হাসান : নয়টি (২০০৭, ২০০৯, ২০১০, ২০১২, ২০১৪, ২০১৬, ২০২১, ২০২২ ও ২০২৪)।
৩. মাহমুদউল্লাহহ : আটটি (২০০৭, ২০০৯, ২০১০, ২০১২, ২০১৪, ২০১৬, ২০২১ ও ২০২৪)।
৪. ডেভিড ওয়ার্নার : আটটি (২০০৯, ২০১০, ২০১২, ২০১৪, ২০১৬, ২০২১, ২০২২ ও ২০২৪)।
৫. ক্রিস গেইল : সাতটি (২০০৭, ২০০৯, ২০১০, ২০১২, ২০১৪, ২০১৬ ও ২০২১)।
৬. ডুয়ানে ব্রাভো : সাতটি (২০০৭, ২০০৯, ২০১০, ২০১২, ২০১৪, ২০১৬ ও ২০২১)।
৭. মুশফিকুর রহিম : সাতটি (২০০৭, ২০০৯, ২০১০, ২০১২, ২০১৪, ২০১৬ ও ২০২১)।