- খাস কালেকশন করবে তহসিল অফিস
শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজারের ইজারা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা কমতে শুরু করেছে। বাজার ইজারা দেওয়ার আগ পর্যন্ত ইউনিয়ন ভূমি অফিসের মাধ্যমে খাশ কালেকশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শান্তিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।
বাজার ইজারা দিতে আগামী রবিবার (৭ মে) থেকে ইজারার সিডিউল বিক্রি শুরু হবে। ১৮ মে দেওয়া হবে ইজারা। আইনত, সর্বোচ্চ দরদাতারাই পাবেন বাজারের ইজারা। এর আগ পর্যন্ত ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা বা তহসীলদারের তত্বাবধানে তার নিয়োগকৃত লোকদের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে খাস কলেকশন।
স্থানীয় ও পশ্চিম পাগলা ইউনিয়ন ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছরের মতো এ বছরও ৩০শে চৈত্র বাজারের পূর্ব ইজারার মেয়াদ শেষ হয়। ১লা বৈশাখ নতুন করে বাজার ইজারা দেওয়ার কথা থাকলেও কেউ দরপত্রে আগ্রহ না দেখানোয় তা খাস কালেকশনে চলে যায়। বাজার থেকে প্রতি হাটের দিন রাজস্ব আদায় করতে কালেক্টর নিয়োগ দেন ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা। এতে বাঁধা প্রদান করে পাগলা বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি। সকলে মিলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দ্বারস্থ হলে তিনিই বাজারের কালেকশন তহসীলদারের মাধ্যমে আদায় করার নির্দেশ দেন। সব বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে চলতি মাসের ১৮ তারিখ টেন্ডারের মধ্য দিয়ে বাজার দেওয়া হবে। এর আগ পর্যন্ত বাজারের খাস কালেকশন করবে ইউনিয়ন ভূমি অফিস।
এ বিষয়ে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনোয়ার উজ্ জামান বলেন, সৃষ্ট জটিলতা এড়াতে বাজারের কালেকশন ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তার তত্বাবধানে করা হবে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।
উল্লেখ্য, ৩০শে চৈত্র ১৪২৯ বাংলা তারিখে বাজারের ইজারার মেয়াদ শেষ হলে কোনো ব্যক্তি নতুন করে দরপত্রে অংশগ্রহণ না করায় পাগলা বাজারকে খাস কালেকশনের আওতায় আনা হয়। পরে শত্রুমর্দন বাঘেরকোনা গ্রামের রাশিদ মিয়া তালুকদারের ছেলে ইমরান হোসেন তালুকদারকে বাজারের কালেকটর নিয়োগ করে উপজেলা প্রশাসন। এতে আপত্তি তুলে পাগলা বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে বাজারে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করে উপজেলা প্রশাসন।