পাকিস্তানের বোলিং তোপে পাওয়ারপ্লেতেই শেষ হয়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার! মনে হচ্ছিল শ্রীলঙ্কা আর দাঁড়াতেই পারবে না! তবে সকল ধারণাকে মিথ্যে করে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল শ্রীলঙ্কা। ভানুকা রাজাপাকশের দারুণ এক ইনিংসের মাধ্যমে দলটি তুলেছে ১৭০ রান। তাতে এশিয়া কাপের ফাইনালে প্রথম ইনিংস শেষে জমজমাট লড়াইয়ের আভাসই দিয়ে রাখল শ্রীলঙ্কা।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নামা পাকিস্তান লঙ্কান ইনিংসে আঘাত হানে প্রথম ওভারেই। এবারের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের তারকা নাসিম শাহ শুরুর ওভারেই উপড়ে দেন কুশল মেন্ডিসের স্টাম্প। চতুর্থ ওভারে হারিস রউফ তুলে নিলেন পাথুম নিশাঙ্কাকে। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে সেই তার শিকার হয়ে ফিরলেন দানুশকা গুনাথিলাকাও। পাওয়ারপ্লে শেষে আরও দুই উইকেট খুইয়ে শ্রীলঙ্কা প্রায় খাদের কিনারেই চলে গিয়েছিল। ৯ ওভার শেষে দলের রান ছিল ৫৮, অর্ধেক ইনিংস যে হয়ে গিয়েছিল হাওয়া!
সে থেকে যে শ্রীলঙ্কার রানটা ১৭০ ছুঁয়েছে, তার প্রায় পুরোটা কৃতিত্বই রাজাপাকশের। ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে তিনি খেলেছেন ৪৫ বলে ৭১ রানের দারুণ এক ইনিংস। পাক বোলারদের তোপ সামলে মেরেছেন ৬ ছক্কা আর তিন চার। শুরুতে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা। দলীয় ১১৬ রানে যখন তিনি ফিরলেন, এরপর রাজাপাকশে প্রায় একাই টেনেছেন শ্রীলঙ্কার আশাকে।
তবে তার এই ইনিংসে অবদান ছিল শাদাব খানেরও। একবার নিজে রাজাপাকশের ক্যাচ ফেলেছেন, আরেকবার আসিফ আলির সঙ্গে ঠোকাঠুকি লেগে গিয়েছিল তার, আসিফের হাত ফসকে পড়ে যায় ক্যাচ, সেটাও রাজাপাকশেরই। সেই দুই ‘জীবনেরই’ পূর্ণ ব্যবহারটাই করেছেন রাজাপাকশে, ১৫৭ স্ট্রাইক রেটে খেলেছেন বিধ্বংসী এক ইনিংস। যার ফলে শ্রীলঙ্কার রানটাও গিয়ে ঠেকেছে ১৭০-এ।
টসের সময় লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা বলেছিলেন, টস জিতলে ফিল্ডিংই নিতেন, তবে ফাইনালে আগে ব্যাট করার সুযোগ পাওয়াটাও বেশ ভালো। ফাইনালের চাপ বলেও যে একটা ব্যাপার আছে! সে চাপটা শ্রীলঙ্কা কাজে লাগাতে পারে, না পাকিস্তান সে চাপ তুড়িতে উড়িয়ে যেতে তৃতীয় এশিয়া কাপ, সেটাই এখন দেখার বিষয়।