বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী (বিএসএফ) এর পতাকা বৈঠকের পর ভারত সীমান্তে পড়ে থাকা গলা কাটা অবস্থায় কানাইঘাটের কিশোর মাছুম আহমদ (১৪) এর লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মাছুম আহমদের মাথা বিচ্ছিন্ন অর্ধগলিত লাশ বিজিবি, বিএসএফ এবং ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তবর্তী থানা ও বাংলাদেশের কানাইঘাট থানা পুলিশের উপস্থিতিতে তার লাশ উভয় দেশের আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পরিবারের সম্মতিতে ময়না তদন্ত ছাড়াই পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
লাশ হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার ও সুরইঘাট বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার নায়েব সুবেদার ইলিয়াছ হোসেন। তবে কিভাবে মাছুম আহমদ খুন হয়েছে এর সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন ভারত সীমান্তে বাংলাদেশী কিশোরের গলাকাটা লাশ
নিহতের পিতা কানাইঘাট লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির সীমান্তবর্তী সোনাতনপুঞ্জি গ্রামের নুরুল হক জানান, তার ছেলে মাছুম আহমদের লাশ বাড়ীতে আনার পর গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় স্থানীয় জামে মসজিদে জানাজার নামাজের পর গ্রামের পঞ্চায়েত কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তার অভিযোগ ছেলে মাছুম আহমদকে পরিকল্পিত ভাবে অত্যান্ত পৈশাচিক কায়দায় নির্মম ভাবে হত্যা করে তার দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বিচ্ছিন্নকৃত ডান হাতটিও পাওয়া যায়নি। মাথার সামনে ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে। ছেলের অর্ধগলিত বিকৃত লাশ দাফন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে মাছুম আহমদ নিখোঁজ থাকার পর সীমান্তবর্তী সোনাতনপুঞ্জি গ্রামের ভারতের অভ্যন্তরে ১৩১২-৮ পিলারের কাটা তারের পাশে নিখোঁজ মাছুম আহমদের গলা কাটা লাশ গত বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে পাওয়া যায়। এ হত্যাকান্ড নিয়ে এলাকায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান নিয়ে এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে অনেকে ধারণা করছেন।