ধর্মপাশায় ছাত্র ও স্থানীয়দের সাথে রফিকুল ইসলামের মতবিনিময় সভা

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রসহ স্থানীয় জনগণের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী। শুক্রবার বিকেল ৩টায় উপজেলার দশধরী জোবাইদা গার্ডেনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে দেশ পরিচালনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য সকলের করণীয় শীর্ষক ৭টি প্রস্তাব পেশ করেন। সকলের প্রতি আহŸান জানিয়ে ৭ দফা প্রস্তাব পেশ করেন।

সভায় মুফতি মোবারক হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য দেন, উপজেলা জামায়েত ইসলামের আমির মো. বুরহান উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুছ আলী, উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সভাপতি আওলাদ হোসেন তালুকদার, উপজেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাবেক সভাপতি মাওলানা আজিজুল ইসলাম হাকিমি, মুফতি মহসিন উদ্দিন, ফজলুল হক, আব্দুস সালাম, মোফাজ্জল হোসেন সবুজ, আব্দুল কাইয়ূম, আলীনূর, সুহেল তালুকদা, শাকিল, মো. জিহান আহমেদ, আরিফ বাঙালী প্রমুখ।

ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী তাঁর ৭ দফায় বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ও জনগণের আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে। সমগ্র দেশবাসী ৭১ সালের মতো আজ ঐক্যবদ্ধ। জাতীয় ঐক্যকে সুদৃঢ় করতে হবে, যাতে আমাদের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বকে কেউ যেন আঘাত করতে না পারে। নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগিতা করতে হবে যাতে সমাজের সকল স্থরে আইনের শাসন, ন্যায় বিচার ভিত্কি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্র মেরামতের সকল উদ্যোগকে সমর্থন ও সহযোগিতা করতে হবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সাহায্য সাহযোগিতা করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে জনগণের ওপর কোনো প্রকার নিপীড়নমূলক অন্যায় ও অবিচার যেন না ঘটে। ঘুষ, দুর্নীতি, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধে আইন শৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষের কাছে অপরাধীকে হস্তান্তরের মাধ্যমে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। সংখ্যালঘুদের ঘর বাড়ি, ব্যবসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কোনো প্রকার আক্রমণ ও নির্যাতন না হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে। নিজ নিজ এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। ন্যায় ভিত্তিক গণতান্ত্রিক দেশ গড়ে তোলার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে সকল স্থরের প্রতিনিধি নিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে।