ধর্মপাশায় এক জলমহাল দুইবার ইজারা দেয়ার অভিযোগ

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের হিংগার বিল জলমহাল স্থানীয় হিংড়া বিল মৎসজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডকে ইজারা দেওয়ার দুই মাস পরে অন্য আরেকটি সমিতিকে ইজারা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা বিআরডিবির সভাকক্ষে হিংড়া বিল মৎসজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সম্পাদক মো. সাইদুজ্জামান সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন। এ সমিতি খাজনা পরিশোধ করার পরেও তাদেরকে দখলনামা দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করা হয়।

জানা যায়, হিংগার বিল জলমহালটি উপজেলা প্রশাসনের অধীনে। গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে জলমহালটি ১৪৩০ থেকে ১৪৩২ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত দুই বছরের জন্য ইজারা নেওয়ার জন্য সেলবরষ ইউনিয়নের হিংড়া বিল মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ, যমুনা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ ও সৈয়দপুর পূর্বপাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ আবেদন করে।

পরে ২২ মার্চ উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি হিংড়া বিল মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডকে তীরবর্তী-১ দেখিয়ে এ সমিতির অনুকুলে ইজারা প্রদান ও সৈয়দপুর পূর্বপাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটিডের অফিসঘর (৪২৭ নং দাগ) না থাকায় তীরবর্তী-৩ হিসেবে উল্লেখ করে রেজুলেশন করা হয়।

পরবর্তীতে ২৭ মার্চ ১৪৩০ বঙ্গাব্দের ইজারা মূল্য ও অন্যান্য করাদি পরিশোধের জন্য উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক ও ইউএনও হিংড়া বিল মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডকে চিঠি দেন। চিঠি পেয়ে ৩০ মার্চ ইজারা মূল্য ও অন্যান্য করাদি পরিশোধ করে হিংড়া বিল মৎসজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড। কিন্তু তাদেরকে দখলনামা বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।

এদিকে উপজেলা কমিটির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর পূর্বপাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটিডের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাছে আপিল মোকদ্দমা দাখিল করা হয়। পরে ২ এপ্রিল অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বতর্মান অবস্থা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ধর্মপাশার ইউএনওকে আদেশ প্রদান করেন।

আদেশ পেয়ে ইউএনও ৬ এপ্রিল সরেজমিন তদন্ত করে ৪২৭ নং দাগে সৈয়দপুর পূর্বপাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের ঘর রয়েছে বলে উল্লেখ করে এ সমিতিকে জলমহালের তীরবর্তী দেখিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেন।

পরে ২৫ মে সৈয়দপুর পূর্বপাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটিডের অনুকূলে ইজারা প্রদানের সিদ্ধান্ত দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।

ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, আমি কোনো তথ্য গোপন করিনি। আমি তদন্তের সময় ৪২৭ নং দাগে অফিসঘর পেয়েছি। সরেজমিন যা পেয়েছি তাই তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছি। পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।