সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ইমরান (১২) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করেছে আপন চাচা ও তার ছেলেরা। নিহত ইমরান হোসেন উপজেলার টংগর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।
গত মঙ্গলবার টংগর গ্রামের মৃত দিয়ানত উদ্দিনের ছেলে আবুল খায়ের ও আবুল কাশেমের মাঝে বসত বাড়ির সীমানা নিয়ে ঝগড়াঝাটি হয়। এসময় আবুল খায়ের ও তার ছেলেদের বেধড়ক মারপিটের কারণে আবুল কাশেম ও তার ছেলে ইমরান (১২), মেয়ে রিনা বেগম (২১) মারাত্মক আহত হয়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতরা দিরাই উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসলে আশংকাজনক অবস্থায় তিনজনকেই সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় পরদিন বুধবার বিকেল চারটায় ইমরান মারা যায়।
দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মনি রানী তালুকদার জানান, বেধড়ক মারপিটে জখমী ইমরানের মাথার খুলি ভাঙ্গাসহ তিনজনই প্রচন্ড আঘাতপ্রাপ্ত ছিল। আশংকাজনক অবস্থায় তিনজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহত ইমরানের পিতা আবুল কাশেম জানান, ‘আমি দিরাই বাজারের একটি হোটেলে কাজ করি। বসতঘরের সীমানা নিয়ে আমার ভাইয়ের সাথে দ্বন্দ্ব ছিল। মঙ্গলবার আমি বাড়িতে গেলে আমার ভাই, ভাতিজা, ভাগনা মিলে আমার বসত ঘরে এসে লাঠিসোটা নিয়ে সবাইকে মারধর শুরু করে। এসময় তাদের মারপিটে আমি আমার মেয়ে ও ছেলে আহত হই। আমরা দিরাই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসলে তারা সিলেট ওসমানীতে প্রেরণ করে। আমি সিলেট যাওয়ার আগে দিরাই থানায় গিয়ে বিষয়টি জানালে আগে চিকিৎসা করানোর কথা বলে পুলিশ।’
দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী মুক্তাদির হোসেন বলেন, টংগর গ্রামের দুই সহোদরদের মাঝে বসতঘরের সীমানা নিয়ে মারামারিতে একটি ছেলে চিকিৎসারত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বুধবার বিকেলে মারা গেছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা করছে। এখনও মামলা হয়নি।