তিনঘন্টার বৃষ্টিতে নদ-নদীর পানি কোথাও বেড়েছে, কোথাও অপরিবর্তিত

সিলেটে মাত্র তিনঘন্টার বৃষ্টিতে নদনদীর পানি কয়েকটি পয়েন্টে বেড়েছে। আবার কোথাও কোথাও অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ফের বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সোমবার (২৪ জুন) বিকেল তিনটায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এদিকে বন্যার পানি ধীর গতিতে নামার কারণে বানভাসী মানুষের দুর্ভোগ কমছেই না। সিলেট জেলা প্রশাসনের সোমবার সকালের প্রতিবেদন অনুযায়ী আজ পর্যন্ত সিলেটে ৮ লাখ ৩ হাজার ৩৬৫ জন মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। তাছাড়া জেলার ২৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৩ হাজার ২০৯জন মানুষ অবস্থান করছেন।

সিলেট আবহাওয়া অফিস জানায়, সোমবার সকাল ৬ টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ৪ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

বৃষ্টিপাত বাড়ায় সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা-কুশিয়ারার বিভিন্ন পয়েন্টে পানি আরও বেড়েছে। তবে কয়েকটি পয়েন্টে অপরিবর্তিত রয়েছে।

পাউবো জানায়, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে সোমবার সকাল থেকে একই অবস্থায় রয়েছে। সকাল ৬টায় এই পয়েন্টে পানি ছিল বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার উপরে। বিকেল তিনটায়ও একই অবস্থায় রয়েছে। গতকাল এই পয়েন্টে পানি ছিল বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার উপরে।

সুরমার পানি সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার নিচে থাকলে আজ সকাল ৬টায় ছিল ১০ দশমিক ৪৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বিকেল তিনটায় তা আরও বেড়ে ১০ দশমিক ৫১ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। বিকেল তিনটায় তা আরও বেড়ে ৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে গতকাল ছিল বিপৎসীমার বিপৎসীমার৪০ সেন্টিমিটার উপরে।

কুশিয়ারার পানির ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে আজ সকাল থেকে অপরিবর্তিত রয়েছে। সকাল ৬টায় এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। বিকেল তিনটায়ও একই অবস্থায় রয়েছে। গতকাল এই পয়েন্টে পানি ছিল বিপৎসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার উপরে।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেরপুরে জুড়ি ও মনু নদী কুশিয়ারার সাথে যুক্ত হওয়ায় এই নদীর পানি নামার গতি খুবই কম। তাছাড়া এখন ভাটির দিকে প্রায় সব এলাকা প্লাবিত। তবে বৃষ্টিপাত কমে গেলে ও প্রতিদিন রোদ হলে বন্যার পানি কমে যাবে।