মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন বন্ধসহ কয়েকটি দাবিতে হবিগঞ্জে শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকে শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট। এর ফলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে বাস চলাচল।
ধর্মঘটের কারণে সাধারণ যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন। যাত্রীদের ছোট ছোট যানবাহন দিয়ে গন্তব্যস্থলে যেতে দেখা গেছে। কেউবা পায়ে হেঁটে যাত্রা করেছেন গন্তব্যের উদ্দেশে। সকাল থেকেই অনেক যাত্রীকে গাড়ির জন্য দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে দেখা গেছে। সবমিলিয়ে তাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
অনেক যাত্রী জানান, মহাসড়কে বাস বন্ধ থাকায় অন্য গাড়িগুলো ভাড়া বেশি আদায় করছে। এছাড়া ভেঙে ভেঙে গন্তব্যস্থলে যেতে হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ধর্মঘটের ঘোষণা দেয় হবিগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে জেলার নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় সালামতপুরে নির্মিত সরকারি বাস টার্মিনালে বাসগুলোকে যেতে দিচ্ছে না। উপজেলা শহরে যানজটের অজুহাতে তারা টার্মিনালে বাস যেতে দেয় না। গত বুধবার হঠাৎ গাড়িগুলো আটকে দিয়ে জরিমানা করেছে। অথচ অবৈধ নসিমন, করিমন, ইজিবাইক শহরে যানজট সৃষ্টি করলেও সেগুলো বন্ধ করা হচ্ছে না। একারণে শুক্রবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জেলার সব গণপরিবহন বন্ধ রাখার ডাক দেয়।
কেন্দ্র থেকে ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিভাগীয় গণসমাবেশ করবে বিএনপি। দলটির নেতাদের দাবি, কোনো ধরনের ইস্যু ছাড়াই হঠাৎ করে সিলেটে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে ধর্মঘট ডেকেছে সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরের দাবি, বিএনপির সমাবেশে জনসমাগম ঠেকাতে ধর্মঘট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্রই সমাবেশে উপস্থিতি কমাতে পারবে না। যত বাধাই আসুক, সমাবেশ সফল হবে। সিলেটের সমাবেশ ইতিহাস সৃষ্টি করবে।