জগন্নাথপুরে কিশোরীকে নিয়ে পালানোর ১৮ দিন পর গ্রেপ্তার প্রেমিক

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে এক কিশোরীকে নিয়ে পালানোর ১৮ দিন পর পুলিশের হাতে আটক হলো প্রেমিক। পরে আদালতের নির্দেশে পাঠানো হলো কারাগারে।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৫ ফেব্রুয়ারি কেশবপুর এলাকার ৮ম শ্রেনির এক স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যান প্রেমিক রাসেল আহমদ। এঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে নারীও শিশু নির্যাতন আইনে জগন্নাথপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।ঘটনার ১৮ দিন পর বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত রাসেল ওই স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে নিজ এলাকায় ফিরে আসেন। পরে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে অভিযুক্ত রাসেলসহ ওই স্কুল ছাত্রীকে আটক করে পুলিশ।

অভিযুক্ত রাসেলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সুনামগঞ্জ আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে। অভিযুক্ত রাসেল জগন্নাথপুর পৌরসভার হবিবনগর এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে।

এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া খানম সাথী বলেন, মেয়েটির সঙ্গে ওই ছেলের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। মেয়েটি ওই ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যায়। ১৮দিন পর ফিরে আসায় স্থানীয়দের ভয়ে মেয়ের মা তাদের আমার বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ তাঁদের নিয়ে যায়।

তবে প্রেমের বিষয়টি অস্বীকার করে মামলার বাদী ওই স্কুল ছাত্রীর মা বলেন, ছেলেটি আমার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রায় উত্যক্ত করত এবং প্রেমের প্রস্তাব দিত। বিষয়টি জানতে পেরে আমি ওই ছেলেকে আমার মেয়ের সাথে এমন আচরণ করতে বারণ করায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার মেয়েকে অপহরণ করে। মেয়েকে ফিরে পাওয়ার পর জানতে পারি; রাসেল আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। তাই আমি মামলা করেছি। আমি এর বিচার চাই।

এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ওই স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মামলা করায় আসামীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে ভিকটিমকে (ওই স্কুল ছাত্রী) মেডিকেল পরীক্ষার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।