দেশে ডলারের সংকট এখনও রয়েছে। ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্স কিনছে প্রতি ডলার ১০৮ টাকা দরে। বিদেশে যাওয়ার জন্য কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে গেলে ডলার কিনতে হচ্ছে ১১৪ টাকায়। কিন্তু গুগলের তথ্য বলছে, আজ রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) প্রতি ডলার লেনদেন হচ্ছে ৯৩ টাকা ৯০ পয়সায়। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েব সাইটে বলা হয়েছে, প্রতি ডলার এখন সর্বোচ্চ ১০৬ টাকা ৭৫ পয়সায় লেনদেন হচ্ছে। এ নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছেন।
বাণিজ্যিক ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, গুগলের তথ্য ভুয়া। ব্যাংকে এখনও ডলার সংকট চলছে। ব্যাংক নিজেই ১০৮ টাকা দরে রেমিট্যান্স কিনছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারাও বলছেন গুগলের তথ্য সঠিক নয়। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান বলেন, গুগলে যেটা শো করছে সেটি সঠিক নয়। কেউ হয়তো যুক্তরাজ্যের একটি ওয়েবসাইটে ৯৩ টাকার তথ্য দিয়েছে। সেখান কারণে গুগল এটা শো করছে। তিনি উল্লেখ করেন, এখন ডলারের রেট ১০৬ টাকা।
সম্প্রতি দেশে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের অস্থিতিশীলতা কমাতে দেশে আসা রেমিট্যান্স প্রতিডলারে ১০৮ টাকা এবং রফতানি আয়ের ক্ষেত্রে ৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়, যা গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) শীর্ষ নেতারা গত ১১ সেপ্টেম্বর এক সভায় বিভিন্ন লেনদেনে ডলারের সর্বোচ্চ দাম যেভাবে নির্ধারণ করেছেন, তাতে রফতানি আয়ের চেয়ে রেমিট্যান্স হয়ে আসা ডলারের দাম ৯ টাকা বেশি।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে একই মুদ্রার মূল্য একেক জায়গায় একেক রকম। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এলে ডলারের দাম দেওয়া হচ্ছে ১০৮ টাকা। একই ডলার রফতানির মাধ্যমে এলে তার দাম দেওয়া হচ্ছে ৯৯ টাকা। যখন আমদানির জন্য দেওয়া হচ্ছে তখন মূল্য ধরা হচ্ছে ১০৪ টাকা ৫০ পয়সা। আবার ফ্রিল্যান্সারসহ বিদেশ থেকে আসা অন্যান্য আয়ে সর্বোচ্চ ৯৯ টাকা দাম দিচ্ছে। যদিও ফ্রিল্যান্সার ও ডলার আয় করা অন্যান্য খাতের কর্মজীবীরা তাদের আয়ের জন্য আড়াই শতাংশ হারে সরকারি প্রণোদনা পাচ্ছেন। এছাড়া যখন কেউ বিদেশে চিকিৎসার জন্য ডলার কিনতে যাচ্ছেন তার কাছ থেকে রাখা হচ্ছে (খোলা বাজারে) ১১৪ টাকা।