হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশনে আন্তঃনগর কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের পাওয়ার কারে অবৈধ যাত্রী উঠানোর ছবি তোলায় দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি শাহ মোস্তফা কামালকে ট্রেনে উঠিয়ে মারধর করে ট্রেন থেকে ফেলে দেয় পাওয়ার কারের অপারেটর মো. মোক্তার ও তার সহযোগীরা।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত সাংবাদিক মোস্তফা কামালকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (১২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা ও এলাকার লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ঢাকা থেকে ফিরে আসা কালনী ট্রেন অবরোধ করবে তারা।
আহত সাংবাদিক মোস্তফা কামাল জানান, কালনী ট্রেনে দীর্ঘদিন থেকে অবৈধভাবে যাত্রী বহন করে আসছে। এমনকি ট্রেনের বিদ্যুতের ইউনিট পাওয়ার কারের ভিতরেও ঝুঁকির মুখে যাত্রী নিয়ে আসছে অপারেটররা। আজ সকালে কালনী ট্রেনটি শায়েস্তাগঞ্জ জংশনে আসলে পাওয়ার কারে অবৈধভাবে যাত্রী উঠানোর ছবি তুলে স্টেশন মাস্টারের কক্ষে অবস্থান করছিলেন সাংবাদিক মোস্তফা কামাল। এ সময় ট্রেন থেকে নেমে এসে পাওয়ার কারের অপারেটর মোক্তারের নেতৃত্বে কয়েকজন স্টাফ ফিল্মি কায়দায় স্টেশন মাস্টারের কক্ষ থেকে সাংবাদিক মোস্তফা কামালকে ধরে নিয়ে ট্রেনে উঠায়। পরে তাকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত অবস্থায় চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় তারা। এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক ও এলাকাবাসী চরম ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।
স্টেশন মাস্টার মোয়াজ্জুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘সাংবাদিককে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বাঁধা দিলেও তারা শুনেনি। এ ব্যাপারে রেলের ঊর্ধ্বতন মহলকে অবহিত করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনে ঊর্ধ্বতন উপসহকারি প্রকৌশলী (পথ) মো. সাইফুল্লাহ জানান, ‘ঘটনার খবর পেয়ে দোষী ব্যক্তি মোক্তারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’