সিলেট জেলায় বৃহস্পতিবার (২ জুন) থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে আবারও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃষ্টির কারণে সিলেটের নদ-নদীর পানি বেড়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। লাগাতার বৃষ্টি হলে নদ-নদীর পানি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে পাউবো।
গত মাসে সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হয়ে যায় সিলেটে। গত ১১ মে থেকে সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তলিয়ে যায় নগরের বেশিরভাগ এলাকাসহ জেলার ১২টি উপজেলা।
ওই বন্যার ধকল এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি সিলেট। বন্যায় বিপর্যস্ত হয় মানুষের জীবন। ভেসে যায় খামারের মাছ, ভেঙে যায় সড়ক, বাঁধ, ঘরবাড়ি। ক্ষতি হয় শত শত কোটি টাকার। এখনও জেলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে বন্যার পূর্বাভাসে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানান, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল তথা সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে চলতি মাসে স্বল্পমেয়াদী বন্যার সৃষ্টি হতে পারে।
এই আবহাওয়াবিদ জানান, ভারী বর্ষণের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের কিছু স্থানে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
জানা গেছে, সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা, সারি ও লোভাছড়া নদীর পানি কিছুটা বেড়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পানি আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমদ।
তিনি বলেন, আগামী ১০ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ভারতের মেঘালয় ও আসামে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে পাহাড়ি ঢলে সিলেট অঞ্চলে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এমন হলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর, সিলেট অফিসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার (৩ জুন) সকাল ৬টা থেকে শনিবার (৪ জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেটে মোট বৃষ্টিপাত হয়েছে ৫৫ দশমিক ৫ মিলিমিটার। এছাড়া আজ শনিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সিলেট অঞ্চলে ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর, সিলেট অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে মৌসুমী বায়ু প্রবাহিত হওয়ায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই বৃষ্টি আরও দুই থেকে তিনদিন স্থায়ী হবে। এরপর বর্ষার স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত থাকবে।