বাংলাওয়াশ ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিজেদের শেষ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় টিম টাইগার। ব্যাট করতে নেমে ওপেনার সৌম্য সরকারের বিদায় আর শান্তর ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে বেশ চাপে ছিলো বাংলাদেশ। সে চাপ সামলাতে শুরু থেকেই মারকুটে ব্যাট করে গেছেন লিটন দাস। যার ফল সরূপ পেয়েছেন ফিফটির দেখা।
লিটনের দুর্দান্ত ফিফটির পর অধিনায়ক সাকিবও পেয়েছেন ফিফটির স্বাদ। এমন আগুন পারফর্মেন্স দেখে ধারণা করা হচ্ছিলো টাইগাররা বুঝি ২০০ রান করেই ফেললো। কিন্তু সেই ধারণা মিথ্যা প্রমান করে বাংলাদেশ থামলো ১৭৩ রানে।
পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে খোলস ছেড়ে বেরোতে গিয়েই বিদায় নেন শান্ত, ফেরার আগে ১৫ বলে করেন ১২ রান। ভাগ্যিস তার এক বল আগে স্কুপ করে একটা চার আদায় করেছিলেন। নাহয় তার স্ট্রাইক রেটটা যে থাকত আরও নিচের দিকে! দুই ওপেনারকে হারিয়ে বাংলাদেশ পাওয়ারপ্লেতে তোলে ৪১ রান।
পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে সাকিব-লিটন জুটির শুরু। প্রথম দিকে সাকিব একটু নড়বড়ে ছিলেন, লিটনের সঙ্গে একটু ভুল বোঝাবুঝিও হয়ে গিয়েছিল খানিকটা। চার-ছক্কা তো আছেই, তা না পেলে অন্তত রানের চাকা অচল হয়ে পড়েনি একটু, এক-দুই রানে ইনিংস গড়ছিলেন সাকিবের সঙ্গে।
৩১ বলে ফিফটি পূরণ করেন লিটন। ৬টি চার আর ২টি ছক্কায় ৬৯ রান করে শেষমেশ থামেন তিনি। ১৩ অক্টোবর তার জন্মদিনটাও রাঙানো হয়ে যায় তাতে। ৫৫ বলে ৮৮ রানের জুটি ভাঙার পর সাকিব অনেকটা একাই লড়েছেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের দেয়া ১৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছে পাকিস্তান। এখন পর্যন্ত ৫ ওভার ব্যাট করে ৩৫ রান সংগ্রহ করেছে বাবর বাহিনী। হাতে আছে ১০ উইকেট।
বাংলাদেশ একাদশ
লিটন দাস, নাজমুল হোসাইন শান্ত, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, ইয়াসির আলী, সাব্বির রহমান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ।
পাকিস্তান একাদশ
মোহাম্মদ রিজওয়ান, বাবর আজম (অধিনায়ক), শান মাসুদ, শাদাব খান, ইফতিখার আহমেদ, হায়দার আলী, আসিফ আলী, মোহাম্মদ নেওয়াজ, মোহাম্মদ ওয়াসিম, নাসিম শাহ ও মোহাম্মদ হাসনাইন।