বলিউড অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের বিরুদ্ধে মামলা করছেন। নোরার দাবি, নিজের স্বার্থে জ্যাকুলিন তাকে নিয়ে নোংরামি করছেন। এখন মান-সম্মান নিয়েই বিপত্তিতে পড়েছেন তিনি।
কেন মানসম্মান নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে, সেই খবর কারো অজানা নয়। কয়েক মাস আগে সুকেশ চন্দ্রশেখরের ২১৫ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার মামলা দিয়ে এ ঘটনার সূত্রপাত। সেই সময় সুকেশের সঙ্গে জড়িয়ে যায় অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের নাম। সুকেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকায় ফেঁসে যান জ্যাকুলিন। ঘটনা এখানেই থেমে থাকেনি। জ্যাকুলিনকে কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। পরে জানা যায়, সুকেশের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় বেশ কিছু অবৈধ সম্পত্তি উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন জ্যাকুলিন। এতেই ফেঁসে যান অভিনেত্রী। ঘটনা তখনই অন্যদিকে মোড় নেয়।
এ ঘটনা আরও বাড়তে থাকে। আর্থিক প্রতারণা মামলার জালে ক্রমেই জড়িয়ে পড়ছেন জ্যাকুলিন। আইনজীবীর মাধ্যমে জ্যাকুলিন একসময় গণমাধ্যমে জানান, সুকেশের কাছ থেকে শুধু তিনিই নন। অনেক তারকাই উপহার নিয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন নোরা ফাতেহিও। এ সময় তিনি প্রশ্ন তোলেন তাকেই শুধু দোষারোপ করা হচ্ছে কেন? নোরা তখন নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। উপহারের কথা অস্বীকার করেন। পরে নোরা ফাতেহিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে ইডি। সুকেশের সঙ্গে সম্পর্ক আছে কি না, এছাড়া উপহারসহ নানা বিষয়ে ৫০টির বেশি প্রশ্নের মুখোমুখি হন নোরা।
তখন নোরা বলেন, তার একটি আয়োজনের আয়োজকদের একজন ছিলেন সুকেশের স্ত্রী লিনা মারিয়া। লিনা আমাকে একটি ব্যাগ ও আইফোন উপহার দিয়েছিলেন।
নোরা বলেন, ওনার স্বামী (সুকেশ) আমার অনেক বড় ভক্ত। কিন্তু ওনার স্বামী আমার সঙ্গে এখন দেখা করতে পারবেন না। আমার সঙ্গে সুকেশের ফোনে আলাপ করিয়েছিলেন লিনা। এরপর লিনা ঘোষণা করেন যে ভালোবেসে আমাকে একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি উপহার দেবেন।
এ ঘটনা নিয়ে আরও জল গড়াতে থাকে। যে কারণে জ্যাকুলিনের বিরুদ্ধে মামলা করতে বাধ্য হন নোরা ফাতেহি।
মানহানির মামলা দিয়ে গণমাধ্যমে এ অভিনেত্রী বলেন, জ্যাকুলিন নিজে দুর্নীতিতে জড়িয়ে ক্যারিয়ার নষ্ট করছে। এগুলো সে তার কাছের মানুষের জন্যই করছে। সুকেশের সঙ্গে সে কাজ করে, যা করছে, ঠিক আছে। কিন্তু আমাকে এ নোংরামির মধ্যে যুক্ত করানো কেন? এ সময় তিনি নিজেকে মামলা থেকে মুক্ত করার আবেদন জানান।