জীবনের নিরাপত্তা চান দোয়ারাবাজারের মাদ্রাসা শিক্ষক

সম্পত্তির বাটোয়ারা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে হুমকিতে আছেন সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা কামালউদ্দীন। পারিবারিক কলহের রোষানলে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

মাওলানা কামাল উদ্দীন উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামের মৃত মনোহর আলী মনু মিয়ার পুত্র। আপন ভাই এবং এক চাচাতো ভাইয়ের অত্যাচার থেকে মুক্তির জন্য আইনি আশ্রয় চেয়ে তিনি গতকাল মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাতে দোয়ারাবাজার থানায় লিখিত আবেদন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা কামাল উদ্দীন জানান, আপন ছোট ভাই জামাল উদ্দীনের সাথে বসতভিটা এবং পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে তার বিরোধ চলছে। এ নিয়ে একাধিক গ্রাম-পঞ্চায়েতও হয়েছে। তার ছোট ভাই জামাল উদ্দীনকে শেল্টার দেন চাচাতো ভাই মিজানুর রহমান। তিনি দোয়ারাবাজার সরকারি ডিগ্রি কলেজের অফিস সহকারী।

জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে মাওলানা কামাল উদ্দীন বলেন, আমি দুটি কওমি মাদ্রাসা পরিচালনা করে আসছি। একজন নিরীহ মাদ্রাসা শিক্ষক হিসেবে আমি গত কয়েকমাস যাবৎ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার আপন ভাই জামাল উদ্দীন তার অনুগত চাচাতো ভাইদের নিয়ে আমাকে বসতভিটা এবং সহায় সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করার পাঁয়তারা করে আসছে। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমার ওপর অত্যাচার করে আসছে তারা। এখনও আমাকে বসতভিটাছাড়া করার পাঁয়তারা করছে তারা।

তিনি আরও বলেন, আমি মাদ্রাসায় চলে গেলে আমার পরিবার অত্যাচারের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় থাকে। কয়েকদিন পরপর আমি এবং আমার স্ত্রী ও পুত্রকে তারা মারধর করতে আসে। বসতঘরের জায়গা ছেড়ে না দিলে তারা লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ, এমনকি প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে আসছে। আমার জন্য ঘরের শত্রু এখন বিভীষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি ভাইদের রোষানল থেকে মুক্তি পেতে আইনি আশ্রয় এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জামাল উদ্দীনের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে তিনি (কামাল উদ্দীন) বসতঘরের আমার অংশ দখল করে রেখেছেন। নিজে অন্যায় করে আমাদের বিরুদ্ধে নানাভাবে অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছেন। তিনি এখন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবদুলাল ধর বলেন, ভাইদের অত্যাচারের ব্যাপারে মাওলানা কামাল উদ্দীন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।