বর্ষীয়ান রাজনীতিক, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী জীবদ্দশায় পদ্মা সেতুর নির্মাণ দেখে গেছেন। অসুস্থতার কারণে স্বপ্নের এই সেতু দিয়ে পার হতে পারেননি পদ্মা পারের জেলা ফরিদপুরের এই বাসিন্দা। তবে শেষ পর্যন্ত তার মরদেহ পার হলো পদ্মা সেতু।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সিনিয়র সদস্য সাজেদা চৌধুরী দীর্ঘদিন অসুস্থ থেকে রবিবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। মরদেহ রাতে সিএমএইচেই রাখা ছিল।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে পদ্মা সেতুর উপর দিয়েই সিএমএইচ থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তার নির্বাচনি এলাকা ফরিদপুরের নগরকান্দায়। সেখানে বেলা ১১টায় নগরকান্দা উপজেলার এমএন একাডেমি মাঠে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা এলাকার সাধারণ জনগণ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর পদ্মা সেতু পার হয়েই তার মরদেহ ঢাকায় আনা হবে।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সাজেদা চৌধুরীর ছেলে শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মায়ের মরদেহ নিয়ে আমরা পদ্মা সেতু পার হয়ে নগরকান্দা যাচ্ছি। কিছুক্ষণ আগে সেতু পার হয়েছি। এ পথেই ঢাকায় ফিরবো।’
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘মা অসুস্থ থাকার কারণে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনে থাকতে পারেননি। অসুস্থতার কারণে এর আগে পদ্মা সেতু পারও হতে পারেননি। অবশেষে স্বপ্নের সেতু দিয়ে পার হলেন তিনি। কিন্তু গর্বের এই স্থাপনা দেখতে পারলেন না।’