জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্মস্থান সুনামগঞ্জের বদলে তুরস্ক হয়ে গেছে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার। এ নিয়ে তারা দীর্ঘদিন ছিলেন বিপাকে। এ নিয়ে দেশব্যাপী সমালোচনার মুখে পড়ে স্থানীয় নির্বাচন কমিশন অফিসগুলো। এর মধ্য দিয়ে তাদের অব্যবস্থাপনার নানা বিষয়ও আলোচনায় উঠে আসে।
এমন বাস্তবতার মাঝে বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার বলেন, ‘সুনাগঞ্জের জায়গায় তুরস্ক হয়ে যাওয়ার বিষয়টি সার্ভারজনিত সমস্যা। এটি নির্বাচন অফিসের যে ডাটা এন্ট্রির জায়গা ছিল সেখানে সার্ভারজনিত সমস্যা হওয়ার কারণে অনেকের ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করে জন্মস্থান তুরস্ক দেখতে পেয়েছেন। আমরা আজ এটি ঠিক করে দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে সকাল থেকে এমন ভুল আর হচ্ছে না। বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পর দ্রুত বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।’
এর আগে বুধবার সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাকুয়ান আহমদ প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে সম্প্রতি জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আবেদন করেন। সেটি হাতে পেয়ে উল্টে দেখেন, দেশের নাম লেখা তুরস্ক।
তিনি জানান, এখন এই ভুল তথ্যের কারণে তার কোনো কাজ হচ্ছে না।
জাকুয়ানের বাড়ি সদর উপজেলার কাঠইর ইউনিয়নের শাখাইতি গ্রামে। জাতীয় পরিচয়পত্রে দেশের নাম তুরস্ক দেখে তিনি সোমবার সেটি নিয়ে জেলা নির্বাচন অফিসে যান।
তিনি বলেন বলেন, ‘আমার ভোটার আইডি কার্ডে সব কিছু ঠিকঠাক আছে। জন্মস্থানে কেবল তুরস্ক লেখা। এতে আমি নানা বিড়ম্বনায় পড়েছি।’
এ সময় এই জেলার আরও চারজন জানিয়েছেন, তারাও দেশ তুরস্ক লেখা জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছেন। তবে তারা নাম প্রকাশ করতে চাননি। নিজ নিজ এনআইডি কার্ডের ছবি তারা প্রতিবেদককে দিয়েছেন।