দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরসভার অধিকাংশ রাস্তারই বর্তমানে বেহাল দশা। সামান্য একটু বৃষ্টি হলেই এসব খানাখন্দে ভরপুর রাস্তা তলিয়ে যায়। তখন মানুষের দুভোর্গের সীমা থাকেনা। নিয়মিত ড্রেনগুলো পরিস্কার না করায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ পৌরবাসীর।
জানা গেছে, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদের প্রচেষ্টায় ১৯৯৯ সালে জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জগন্নাথপুর পৌরসভা রূপান্তিত করেন । পরেই এর নামকরণ হয় জগন্নাথপুর পৌরসভা। প্রায় সাড়ে ২৭ বর্গকিলোমিটারের এই পৌরসভায় বর্তমানে প্রায় ৩০২৯৩ ভোটার। জগন্নাথপুর পৌরসভা ২য় শ্রেনীতে রূপান্তরিত হয়।
বর্তমানে পৌর নাগরিকদের ট্যাক্স বাড়লেও বাড়েনি নাগরিক সুবিধা। সামান্য বৃষ্টি হলেই পৌরসভার রাস্তায় পানি জমে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পৌরসভার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত সবচেয়ে বড় খালসহ (শহর খাল) পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন খাল প্রভাবশালীরা দখল করে বহুতল বিশিষ্ট ইমারত নির্মাণ করে ফেলায় সামান্য বৃষ্টি হলেই পৌরসভার রাস্তাগুলো পানিতে তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এছাড়া ড্রেনগুলো নিয়মতি পরিস্কার না করাও এ অবস্থা সৃষ্টি হওয়ার অন্যতম কারণ। জগন্নাথপুর পৌর সভার ভিআইপি ওর্য়াড হচ্চে ৬ নং ওয়ার্ড আর এই ওর্য়াডের বাসুদেব বাড়ি এলাকায় ময়লা ও আবর্জনা বাঘার। দুর্গন্ধের জন্য চলাচলের অনু উপযোগী হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, প্রতিদিন পৌরসভার রাস্তা দিয়ে কয়েশ মানুষ ও রিকশা ও সহস্রাধিক ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চলাচল করে। কিন্তু পৌরসভার অধিকাংশ রাস্তা ভাঙা থাকায় এসব রাস্তায় বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করতে মানুষের খুবই ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
অভিযোগ আছে, প্রতিবছরই পৌরসভার পক্ষ থেকে কয়েকটি রাস্তা দায়সারা সংস্কার করা হয়। কিন্তু সংস্কারের কয়েক মাস যেতে না যেতেই রাস্তাগুলো পুরনো রূপ ফিরে পায়। প্রায় প্রতিদিনই খনাখন্দের রাস্তায় যানবাহন চলাচলে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে। বিকল হয় যানবাহনের যন্ত্রাংশ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের দিঘির পাড় রাস্তা, বাসুদের বাড়ির মোড় থেকে শহিদ মিনার পর্যন্ত রাস্তার বেহাল অবস্থা। বাসুদেব মন্দিরে সামনের এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শতশত মানুষ চলাচল করে।
বিভিন্ন মহল্লার সড়কেরই কঙ্কালসার অবস্থা। সড়ক সংস্কারের দাবিতে পৌর মেয়রের কাছে অনেকবার বলেছেন এলাকাবাসী।
বাসুদেব বাড়ির অনেক পরিবার অভিযোগ করে জানান, আমাদের বাসুদেব বাড়ির দুইটি রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। পানি জমে আছে। খাল দখলের কারনে পানি জমে থাকে। পৌরসভার অধিকাংশ রাস্তা-ঘাটের অবস্থা শোচনীয় ও যান চলাচলের অনুপযোগী। তিনি দ্রুত সড়কগুলো সংস্কার করে যান চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানান।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সব রাস্তারই কঙ্কালসার অবস্থা। একটি পৌরসভার রাস্তা-ঘাট এমন হবে তা মেনে নেওয়া যায় না।’
৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জানান সরকারি খাল বন্ধ করে পানি নিষ্কাশন বন্ধ করেছে। সেগুলো পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিল উদ্ধার করতে পারে।
পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত সচিব শতীষ গোস্বামী জানান, পৌর পরিষদের সর্বশেষ সভায় সড়কগুলো সংস্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।।
৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল কৃষ্ণচন্দ্র বলেন, আমরা প্রতি সপ্তাহে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়। আমরা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা আমরা করছি।।