সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী আব্দুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে ৫৫ জন প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক ও শিক্ষিকার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন জগন্নাথপুরের এক যুবক।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অফিস সহকারী আব্দুল কুদ্দুসে প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫৫ জন শিক্ষকের বাড়ি ভাড়া ও টিফিন ভাতার টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে জমা না দিয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে জমা করেন এবং ভুয়া ভাউচার বানিয়ে নিজস্ব চেকে ১২ লক্ষ ৯০ হাজার ৫৪ টাকা উত্তোলন করেন। অথচ ওই ৫৫ জন শিক্ষক এই টাকাগুলো পাওয়ার কথা।
জানা গেছে, আব্দুল কুদ্দুস দীর্ঘ দুই যুগ ধরে জগন্নাথপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একজন জুয়াড়ি। কয়েকবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়া খেলা থেকে তাকে আটক করেন। পরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এছাড়া ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ আছে, অনেক শিক্ষক তার কাছে জিম্মি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক বলেন, আব্দুল কুদ্দুসকে টাকা না দিলে তিনি কোনো কাগজে স্বাক্ষর দেন না। টাকা না দিলে ফাইল আটক থাকে। আব্দুল কুদ্দুস নিজে অফিসার পরিচয় দিয়ে থাকেন। তাকে টাকা না দিলে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে ফাইল যায় না। তার বিরুদ্ধে জগন্নাথপুর উপজেলার সুবেশ দেবনাথ নামের এক ব্যক্তি দুর্নীতি দমন কমিশনের ঢাকাস্থ কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় জনসাধারণও ওই অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিভিন্ন দপ্তরি ও পিয়ন নিয়োগে লাখ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে জগন্নাথপুর উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা মানিক লাল দাসের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আর অভিযুক্ত অফিস সহকারী আব্দুল কুদ্দুস এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমার কাছে কোনো অভিযোগ নেই। তবু আমি সাবধান করে দেব।