সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মানুষদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি অপারেশন ও ল্যাবরেটরি সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে একটি ভাসমান হাসপাতাল। সৌদি আরবের অর্থায়নে ভাসমান হাসপাতালটি উপজেলার রানীগঞ্জ বাজারের পাশে কুশিয়ারা নদীতে দুই মাস অবস্থান নিয়ে স্থাস্থ্য সেবা দিয়ে যাবে।
জানা যায়, গত ১৮ নভেম্বর থেকে আগামী দুই মাস উপজেলার মানুষকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি অপারেশন ও ল্যাবরেটরি সার্ভিস দিবে ভাসমান হাসপাতালটি। এর ফলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া আরো সহজ হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। প্রয়াত সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহর নামে নামকরণ করা হাসপাতালগুলোর অর্থায়ন করছে কিং আবদুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজ প্রোগ্রামের (কেএএপি) অধীনে থাকা ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক। ২০১৭ সালে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির অধীনে ভাসমান হাসপাতালগুলো প্রাথমিকভাবে ‘ফ্রেন্ডশিপ’ এনজিওর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।
গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে জাহাজে চালিত হাসপাতাল পরিচালনা করে আসছে তারা। তাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা সাধারণত কমিউনিটি ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে কাজ করে থাকেন।
স্থানীয়রা জানান, আমাদের হাওর এলাকার গর্ভবতী নারী ও শিশুদের যাতায়াত সমস্যার কারণে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে সেবা নেওয়া কঠিন হয়ে যায়। এই শিপ হাসপাতালে আমাদের মত দুর্গম এলাকার মানুষের কাছে আসছে এবং তারা বিনামূলে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে এটা আমাদের পরম পাওয়া। তাদের জাহাজে অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটর আছে। সিজারিয়ান অপারেশনসহ সব ধরনের অপারেশন করাতে পারছি আমরা। এতে আমাদের মত প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ উপকৃত হচ্ছি।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শারমিন আরা আশা জানান, সৌদি অর্থায়নে ভাসমান হাসপাতাল ফ্রেন্ডশিপ এনজিওর মাধ্যমে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি অপারেশন ও ল্যাবরেটরি সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে। তাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা ইপিআই ভ্যাকসিনেশন, এন্টিনেটাল কেয়ার, যক্ষার টেস্ট, সার্ভিক্যাল ক্যান্সারের ভায়া টেস্টসহ সব ধরনের কার্যক্রমে চালিয়ে যাবে। এখানে তারা বিনামূলে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে। তাদের কার্যক্রম নিয়ে আমরা অবগত আছি। তারা আমাদের উপজেলায় দুই মাস নিয়মিত স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাবে।