সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার দুটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে বিপাকে পড়েছেন মেধাবী শিক্ষার্থীরা। আসন সংখ্যা কমিয়ে দেয়ায় লটারীতেও ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী।
বিদ্যালয় ও অভিভাবক সূত্র জানায়, জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের স্বরূপ চন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে উপজেলার দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আবেদন করেন। গত বছর পর্যন্ত বিদ্যালয় দুটিতে ৬০ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলেও এবার ৫৫ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা আসন কম থাকায় ভর্তি হতে পারেন নি।
ইকড়ছই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রম স্থান অধিকার করা শিক্ষার্থীর অভিভাবক ছালিক আহমেদ পীর বলেন, গত বছর ৬০ জন করে ভর্তি করা হয় এবার ৫৫ জন ভর্তি করা হয়েছে। আসন সংখ্যা কম থাকায় আমার মেয়ে এক নম্বর হয়েও লটারিতে সুযোগ পায়নি। এ প্রক্রিয়া বাদ দিয়ে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি চালু করা দরকার।
জগন্নাথপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীর অভিভাবক অজয় গোপ বলেন, ঘরের পাশে সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পেরে আমার সন্তান মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। আমরা দ্রুত আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করে মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ করার দাবি জানাই।
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যালল মুক্তাদির আহমেদ মুক্তা বলেন, শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া হাওর অঞ্চলের জন্য লটারিতে ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন। হাওর অঞ্চলের জন্য ভর্তির আসন বাড়ানো দরকার।
তিনি বলেন, গত বছর ৬০ জন ভর্তি হলেও এবার ৫৫ জন ভর্তি করা হচ্ছে এতে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীও লটারিতে বাদ পড়ে যাচ্ছেন, এতে তাদের পড়ালেখা হুমকিতে পড়তে পারে।
জগন্নাথপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইকবাল মাসুদ বলেন, আমি ৬৫ জনের ভর্তির জন্য চাহিদা পাঠিয়েছিলাম তবে শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ৫৫ জন ভর্তির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমরাতো সরকারি সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য।
স্বরূপ চন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গুরুপদ রায় বলেন, আমরা ভর্তি নিয়ে খুব চাপে আছি। সরকারি সিদ্ধান্তের বাহিরে কিছু করার নেই।