প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে এখন পুরোদমে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। এ বছর ‘রাজা বাদশা’ ও ‘আদর’ নামের দুইটি বিশালদেহী ষাঁড় নজর কাড়ছে ক্রেতাদের।
গতকাল রোববার (৯ জুন) দুপুরে সরেজমিনে উপজেলা সদরের জগন্নাথপুর পৌরশহরের হেলিপ্যান্ড এলাকায় পশুর হাট ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে। হাটে বিশাল আকৃতির সাদা রঙের ‘রাজা বাদশা’ নামের ওই ষাঁড়টির দাম হাঁকানো হচ্ছে ৮ লাখ টাকা। অন্যদিকে কালো রঙের ;আদর’ ষাঁড়টির দাম হাঁকছেন সাড়ে ৬ লাখ টাকা।
এরমধ্যে কয়েকজন ষাঁড় দুটি দরদাম করছেন। ন্যায্যমূল্যে পেলে ষাঁড় দুটি বিক্রি করে দেবেন বলে জানান মালিকেরা।
‘রাজা বাদশা’র মালিক উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ইছগাঁও গ্রামের মনাই মিয়া বলেন, ‘ফ্রিজিয়ান জাতের গাভি থেকে ৩ বছর আগে জন্ম নেয়। এর নামা রাখা হয়েছে ‘রাজা বাদশা’। প্রথম বারের মত এবারই হাটে তোলা হয়েছে ষাঁড়টিকে। ২০ মণ ওজনের ষাঁড়টির দাম ৮ লাখ টাকা চাইলেও দরদাম করার সুযোগ রয়েছে।’
জগন্নাথপুর পৌরসভার হবিবনগর এলাকার রনি মিয়া নিয়ে এসেছেন ‘আদর’-কে। তিনি বলেন, ‘৪ বছর ধরে অনেক আদর যত্ন করে ষাঁড়টি লালন-পালন করায় নাম রাখা হয়েছে ‘আদর’। এর গায়ের রং কালো। ওজন প্রায় ১৮ মণ। দাম সাড়ে ৬ লাখ টাকা। ন্যায্যমূল্য পেলে এই ঈদেই বিক্রি করে দেব।’
জগন্নাথপুর কোরবানির পশুর হাটের ইজারাদার মকবুল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আজকে (গতকাল) হাটে প্রচুর গবাদিপশু উঠেছে, তবে ক্রেতা কম। ঈদের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে জমে উঠবে হাট। প্রতি বছরের মত এবারও গরু প্রতি ১ হাজার টাকা ও ছাগল প্রতি ৩০০ টাকা হাসিল আদায় করা হচ্ছে। দেশীয় জাতের গরু-ছাগল বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে বিক্রেতার সংখ্যা বেশি থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা কম রয়েছে।