জগন্নাথপুরে খাল দূষণে পানি নিষ্কাশন বন্ধ

খালে ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ্যের স্তূপ

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের প্রাণকেন্দ্রে পৌর সভার ৬ নং ওয়ার্ডে খালে বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি ও কাঁদা জমে থাকে। ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ্য ফেলায় অস্তিত্ব সংকটে পৌর সভার ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। পৌর কর্তৃপক্ষ কোন ভূমিকা নিচ্ছেন না।

জগন্নাথপুর শহরের বাসুদেব পাড়ার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া এই খালটি এক সময় ৪৫ ফুট প্রশস্থ ছিলো। এখন বহুতল ভবন নির্মাণের ফলে খাল ভরাট হয়ে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

১৫-২০ বছর আগেও এ খাল দিয়ে পানি চলাচল করেছে। অবৈধ দখল আর খালে ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ্য ফেলার কারণে এর প্রশস্ততা কমে গিয়ে এখন পরিত্যক্ত একটি ডোবায় পরিণত হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে দু’কূল ছাপিয়ে বন্যার সৃষ্টি হলেও শুকনো মৌসুমে তা বিরাণ ভূমিতে পরিণত হয়। ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হওয়া খালটি হারাচ্ছে তার স্বাভাবিক চরিত্র।

সময়ের পরিক্রমায় এখন সেই খাল দিয়ে রাস্তার ও বসতবাড়ির বৃষ্টির পানি পর্যন্ত ঠিকভাবে নিষ্কাশিত হতে পারছে না। বর্তমানে খালটি ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। খালের উপর জমেছে ময়লার স্তূপ। যার ফলে শহরে ড্রেনের পানি নিষ্কাশিত হতে পারে না। বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি এ খাল দিয়ে বের হতে না পারায় বাসুদেব বাড়ির বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়ির উঠানে ও রাস্তায় সব সময় পানি লেগে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

সরজমিন দেখা যায়, খালের পাশে বড় বড় বিল্ডিং উঠায় উভয় পাড় দখলদারদের কবলে পড়ে প্রশস্ততা হারিয়েছে এমনকি অধিকাংশ স্থানই বেদখল হয়ে যাওয়ায় খালের চিহ্নমাত্রই নেই।

এ খালের সঙ্গে নলজুর নদীর সংযোগ রয়েছে। এ ছাড়া গবাদিপশুর বর্জ্য, হাসপাতাল-ক্লিনিকের ময়লা, মুরগির উচ্ছিষ্টসহ নানা ধরনের ময়লা প্রতিনিয়ত মিশে দূষণ হচ্ছে । এতে একদিকে সাপ, মশা ও পোকা-মাকড়ের উপদ্রব বেড়েছে, অন্যদিকে ময়লা অবর্জনায় দূষিত পানিতে খালের পাশ দিয়ে প্রতিদিন স্কুল গামী শিক্ষার্থী ও শিক্ষক, ব্যবসায়ীরা চলা চল করলেও মারাত্মক দুর্গন্ধের জন্য স্বাভাবিক চলাচল করতে পারছেন না।

স্থানীয়রা খালটি দখল মুক্ত করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতঃ দূষণ রোধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

জগন্নাথপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিয়াদ বিন ইব্রাহিম ভুঞা বলেন, খাল টি চিহ্নিত করা হয়েছে এবং খালপাড়ের বাসিন্দাদের নামের তালিকা তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ মামলার জন্য সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছে।