জগন্নাথপুরে আমনের বাম্পার ফলন, ন্যায্যমূল্য নিয়ে শঙ্কা

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার আশের পাশের হাওরগুলোতে আমন ধান পুরোদমে কাটা ও মাড়াই শুরু চলছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, মাঠে মাঠে কৃষকেরা ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছে।

কৃষি অফিস জানায়, নয় হাজার ৩ শত ৫০ লক্ষ মাত্রা থাকলেও নয় হাজার ৫ শত ৫৫ হেক্টর জমিতের এবার ধান উৎপাদন করা হয়েছে যা লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি। এবার ১৫শত কৃষকের মধ্যে সার ও বীজ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। প্রথম বিনা ২২ ও ৭৫, ৮৭ ধানের চাষ করা হয়েছে। উপজেলায় প্রথম ২৬টি অত্যাধুনিক হারভেষ্টার মিশিন দিয়ে ধান কাটা চলছে। এবার আমন ধানের ক্ষতি হয় নি। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হওয়াতে ধানের ভাল ফলন হয়েছে।

বিশেষ করে বন্যার পানি আসায় ধানের জমিতে ফলন বেশি হতে সহায়তা করেছে। উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরামর্শ, দিক-নির্দেশনা ও সরকারি সহায়তায় জমি চাষে আরো উদ্যোগী হন কৃষকরা।

সরেজমিনে বিভিন্ন হাওর ঘুরে দেখা যায়, জমিতে পাকা সোনালী ধানে বাতাসের তালে তালে দুলছে। ধানের মৌ মৌ গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় জায়গায় মেশিন দিয়ে দ্রুত গতিতে ধান কাটা শুরু হয়েছে। পুরো উপজেলা প্রায় ৭০ ভাগ জমিতে ধান কাটা শেষ হয়েছে।

কৃষকরা জানান, উপজেলায় ৫০ শতাংশ ধান কাটা ও মাড়াই শেষ হয়েছে। এতে প্রতি হেক্টরে সাড়ে পাঁচ টন করে ধান এবং সাড়ে তিন টনের বেশি চাল পাওয়া গেছে। বড় কৃষকরা ধান কাটার অত্যাধুনিক হারভেষ্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটছেন, মাঝারি ও বর্গা চাষিরা ধান কাটার শ্রমিক সংগ্রহ করছেন। বেশি দামে সার-ডিজেল কেনা ও সেচসহ ধান চাষে এবার অতিরিক্ত টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু বাজারে যে দামে ধান-চাল বিক্রি হচ্ছে তাতে উৎপাদন খরচ উঠবে না। জমি তৈরি, চারা রোপণে খরচ হয়েছে বেশি। এছাড়া সারও কিনতে হয়েছে বেশি দামে। এমন প্রতিকূল অবস্থা সত্ত্বেও এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুমদার জানান, এবারো আমন ধানের জগন্নাথপুরে বাম্পার ফলন হয়েছে। সরকারি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে বেশি অর্জিত হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে পুরো ধমে কাটা শুরু হয়েছে। বন্যার পর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মধ্যে হাসি ফুটেছে। আমরা বরাবরের মত এবারও ১৫শত কৃষকের মধ্যে সার ও বীজ সহায়তা প্রদান করেছি।