জকিগঞ্জে রিসোর্স সেন্টারে একই পদে দুই কর্মকর্তা নিয়োগ!

সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার রিসোর্স সেন্টারে ইন্সটাক্টর পদে দায়িত্ব পালন করছেন মোহাম্মদ আবুল মাসুদ। একই পদে প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রকল্প থেকে আত্মীকরণ করে পদায়ন করা হয়েছে শরিফুন নাহারকে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি অফিস আদেশে তিনিসহ ১৯ জনকে ইউআরসি ইনস্ট্রাকটর পদে নিয়োগ দেয়া হয়। শুধু শরিফুন নাহার নয় ১৩টি উপজেলায় একইভাবে কর্মকর্তা বর্তমান থাকা অবস্থায় আরো একজন করে কর্মকর্তা নিয়োগ প্রদান করায় প্রাথমিক শিক্ষার মাঠ প্রশাসনে বিশৃংখলা দেখা দিয়েছে।

একই অফিসে দুইজন করে অফিস প্রদান নিয়োগ করায় দায়িত্বে থাকা ভুক্তভোগীদের পক্ষে গত ২৮ ডিসেম্বর মোহাম্মদ আবুল মাসুদ ও অসীম কুমার সাহা মূখ্যসচিব প্রধানমস্ত্রীর কার্যালয়ে লিখিত আবেদন করেছেন।

তারা বলেন, নিয়োগ বিধি ছাড়া কোন পদে পদায়ন করার বিধি না থাকলেও সম্পূর্ণ বিধিবহির্ভূতভাবে উপজেলা রিসোর্স সেন্টার এ ইন্সট্রাক্টর হিসেবে ১৯জন সাবেক উপবৃত্তি মনিটরিং অফিসারদের ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে সহকারী পরিচালক ফয়েজুন নাহার স্বাক্ষরিত নিয়োগ আদেশ জারি করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে তারা উল্লেখ করেন, ইতিপূর্বে বিলুপ্ত প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রকল্পের মনিটরিং অফিসারগণকে আত্মীকরণ করে ১৩টি কর্মস্থলে শূণ্যপদ না থাকা স্বত্বেও ইনস্ট্রাক্টর পদে পদায়ন করা হয়। এতে করে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মাঠ পর্যায়ের এ অফিসটিতে। উচ্চ আদালতের আদেশে উপবৃত্তি মনিটরিং অফিসারদের প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের নবম গ্রেডে পদায়নের কথা বলা হলেও নির্দিষ্ট করে উপজেলা রিসোর্স সেন্টারেই পদায়ন করতে হবে তা বলা হয়নি।

উল্লেখ্য, মনিটরিং অফিসার গণ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কর্মরত থেকে প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রকল্পের অধীনে উপবৃত্তি কার্যক্রম তদারকি করে আসছিলেন। প্রকল্প শেষে তাদের চাকরি অবসান হলে প্রজেক্ট বেনিফিট গ্রহণ করেও তারা আদালতে মামলা করে প্রাথমিক শিক্ষায় নবম গ্রেডে পদায়নের আদেশ পায়। প্রাথমিক শিক্ষার অন্যান্য অফিসে নবম গ্রেডের পদ খালি থাকলেও উক্ত কর্মকর্তাদের উপজেলা রিসোর্স সেন্টার (ইউআরসি) কর্মরত কর্মকর্তাদের একই পদে পদায়ন করা হলো। প্রাইমারী টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে প্রায় ৪ শতাধিক নবম গ্রেডের ইন্সট্রাক্টর এর পদ শূন্য থাকার পরও উদ্দেশ্যমূলকভাবে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের অন্য স্টেশনে বদলি না করে কর্মরত কর্মকর্তার মাথার উপরে একই পদে উপজেলা রিসোর্স সেন্টারেই কর্তৃপক্ষ তাদের পদায়ন করেছে। অথচ দীর্ঘ দিন যাবত পিটিআই ইন্সট্রাক্টর ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার এর শূন্যপদ পূরণের অপেক্ষায় রয়েছে। এই নিয়োগ আদেশ জারী করায় মাঠ পর্যায়ে উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে কর্মরত ইন্সট্রাক্টরগণ মানসিকভাবে ভেঙ্গে। উক্ত ১৯ জন সাবেক মনিটরিং অফিসার কে উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের পরিবর্তে পিটিআই এর ইন্সট্রাক্টর অথবা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের প্রকৃত শূন্যপদে পদায়ন করলে এ বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির হাত থেকে প্রাথমিক শিক্ষার মাঠ প্রশাসন মুক্তি পাবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।