বিমানবন্দরের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে অবশেষে কাঙ্ক্ষিত সেই ছাদখোলা বাসে করে সাফজয়ী নারী ফুটবলারদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বাবুফে ভবনে। বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে ছাদখোলা বাসে করে মতিঝিলস্থ বাফুফে ভবনের উদ্দেশে রওনা হয় সাবিনা খাতুনের দল।
বিমানবন্দর থেকে কাকলি হয়ে মহাখালি ফ্লাইওভার ব্যবহার করে জাহাঙ্গীর গেট, পিএমও অফিসের পর বিজয় স্মরণীতে এসে হাতের বাঁয়ে চলে যাবে এই বাস।
সেখান থেকে তেজগাঁও হয়ে পুনরায় ফ্লাইওভার দিয়ে মৌচাক হয়ে কাকরাইলে পৌঁছাবেন ফুটবলাররা। পরে কাকরাইল থেকে হাতের বাঁয়ে- ফকিরাপুল, আরামবাগ এবং মতিঝিল ও শাপলা চত্বর হয়ে বাফুফে ভবনে গিয়ে পৌঁছাবেন চ্যাম্পিয়নরা।
বাফুফে ভবনে আসার পর আবার মেয়েদের বরণ করে নেবেন বাফুফে ও সাফের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন। তাদেরকে ফুলের স্টিক দিয়ে তিনি বরণ করে নেওয়া হবে। এরপর ফটোসেশন হবে। এখানেও একটি সংবাদ সম্মেলন হতে পারে। এরপর শেষ হবে অফিসিয়ালি সংবর্ধনা।
এর আগে বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল (রা.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান বাংলাদেশের ইতিহাসগড়া মেয়েরা। বিমান থেকে নামার পর তাদের গলায় মালা ও উত্তরীয় দিয়ে স্বাগত জানানো হয়।
গত সোমবার কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে নারী সাফের ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। নারী সাফে এটাই বাংলাদেশের প্রথম শিরোপা। টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোলদাতা হন বাংলাদেশের তারকা সাবিনা খাতুন। দুটি হ্যাটট্রিকসহ ৮ গোল করেন তিনি।