চোরের যন্ত্রনায় ঘুম নেই নগরীর ৪০নং ওয়ার্ডবাসীর

সিলেট নগরীর ৪০নং ওয়ার্ডে বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক চুরি হচ্ছে। বিশেষ করে বিগত ১ মাসে বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এই সব ঘটনায় অধরাই থাকছে চোর চক্র!

স্থানীয়রা জানান, বিগত ৩০ জানুয়ারি তারিখ মঙ্গলবার রাতে আলমপুর পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন মসজিদে চুরির ঘটনা ঘটে। চুরেরা মসজিদের ভেতরে দানবাক্স, মাইক, ফ্যান, ব্যাটারিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র নিয়ে যায়।

এই ঘটনার ৩/৪ দিন আগে ৪০নং ওয়ার্ডের ছিটা শ্রীরামপুর এলাকায় কৃষক রুদ্র বিশ্বাসের ২টি গরু রাতে চোরেরা নিয়ে যায়। জানুয়ারির ৩য় সপ্তাহে একই গ্রামে সুনীল বিশ্বাসের বিদেশি উন্নত জাতের এটি গাভী রাতে চুরি হয়ে যায়। এর কিছু দিন আগে এই ওয়ার্ডের পালপুর জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মঈন উদ্দিন আহমদ এর ২টি গরু নিজ বাড়ি থেকে চুরি হয়ে যায়।

এর আগে ছিটা গোটাটিকর এলাকা থেকে ৩টি গরু চুরি হয়ে যায়। এছাড়া আলমপুর গ্রামের আশরাফ আহমদ এর নিজ ঘর থেকে মোটরসাইকেল চুরি, ঘর চুরি ও বেশ কয়েকটি মোবাইলসহ বেশ কিছু চুরির ঘটনা ঘটে।

ঘনঘন চুরির ঘটনায় আলমপুর জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত বলেন, ‘চুরির ঘটনাগুলোর কারণে আমরা আতংকের মধ্যে রয়েছি। চোরেরা আমার ছেলের মোবাইল ফোন পর্যন্ত নিয়ে গেছে। মোগলাবাজার থানায় অভিযোগ দিযেছি, আজ পর্যন্ত মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়নি।’

পালপুর জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বিশিষ্ট মুরব্বি মঈন উদ্দিন আহমদ বলেন, চোরের কারণে বাড়িতে বসবাস কঠিন হয়ে পড়েছে।

ছিটা শ্রীরামপুর এলাকার কৃষক রুদ্র বলেন, ‘আমার অনেক কষ্টের লালনপালন করা গরুগুলো চোরেরা নিয়ে গেছে। কি আর করবো, কার কাছ থেকে গরুগুলো ফেরত পাবো।’

এ ব্যাপারে মোগলাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি। আলমপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্দ্রনীল শেখর বলেন, ‘আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নিতাম। ফাঁড়ি এরিয়া এলাকা অনেক বড়, একটি মাত্র গাড়ি ও লোকবল ঘাটতি রয়েছে। তারপরেও আমরা টহল জোরদার করবো।’