হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার ৮নং সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাটিয়াজুরী উচ্চ বিদ্যালয়। আশেপাশে প্রায় ১২ শত’র বেশি শিক্ষার্থীর একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই স্কুল টি। বিগত ২০১৯ সালের শুরুর দিকে স্কুলটিতে বহুতল ভবন নির্মাণে পুরাতন শ্রেণীকক্ষসহ একমাত্র লাইব্রেরি কাম কম্পিউটার কক্ষ ভেঙে নতুন ভবন ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন চুনারুঘাট মাধবপুর আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ সরকারের বেসামরিক বিমান পর্যটন ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী এমপি। সেই থেকে চলমান সংকট শ্রেণীকক্ষ নিয়ে হযবরল ভাবে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চালিয়ে আসছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। যার ফলে নিয়মিত ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম। শ্রেণীকক্ষের অভাবে পাঠদান থেকে ব্যাহত হচ্ছে হাজারো শিক্ষার্থী
জানা যায়, ২ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে উক্ত ভবনটি নির্মাণে কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শাহীন ট্রেডার্স। যা ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে হস্তান্তর করার কথা থাকলেও আজ অবধি কাজ অসম্পন্ন করে লাপাত্তা হয়ে আছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। উক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এমন গুরুত্বহীন ও হযবরল অবস্থা দেখে স্কুল কর্তৃপক্ষ বারবার যোগাযোগসহ প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী এমপির স্মরণাপন্ন হলেও আজ অবধি কাজ বন্ধ অবস্থায় পরিত্যক্তভাবে পড়ে আছে ভবনটি। যা হাজারো শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি অভিভাবক ও জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়ে নিন্দার ঝড় বইছে।
এ বিষয়ে সাটিয়াজুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘আমরা বারবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে ব্যর্থ। তারা এ বিষয়ে কোন কর্ণপাত করেনি। বরং ইদানীং মোবাইল নাম্বারে কল দিলে কেটে দেন, নাম্বার প্রায় বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে হাজারো শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অষ্টম, নবম, দশম শ্রেনীর নিয়মিত ক্লাসের পুরাই ব্যাঘাত ঘটছে। সাথে লাইব্রেরি ভবনকক্ষ না থাকায় ছাত্রছাত্রীদের পড়তে হচ্ছে মহা বিড়ম্বনায়। আমরা অতি শীঘ্রই ভবনটি হস্তান্তর রুপে ফিরে পেতে চাই।’
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শাহিন ট্রেডার্স শাহিন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কল রিসিভ করে বৈশ্বিক মহামারি করোনাসহ নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে সময় ক্ষেপণের কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান, ‘শীঘ্রই কাজ পুনরায় চালু করে হস্তান্তর করার চেষ্টা করবো।’