চুনারুঘাটে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনের মাধ্যমে বোরো ধানের জমিতে রোপণ করা হচ্ছে ব্রি-ধান ৮৯ জাতের চারা।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চুনারুঘাট উপজেলার দেওরগাছ ইউনিয়নের চন্দনা ব্লকে মেশিনের সাহায্যে ধানের চারা রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাদির লস্কর।
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদে কৃষকের আগ্রহ বৃদ্ধি করতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনের মাধ্যমে বোরো ধানের চারা লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এই মৌসুমে চন্দনা ব্লকে ৩৪ জন কৃষকের মাঝে ৭৫০ কেজি ব্রি ধান-৮৯ জাতের ধান বীজ প্রনোদনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। এই ব্লকে ৫০ একর জমি সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হচ্ছে। ব্রি ধান-৮৯ এর চারা ২০ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে রোপনের উপযোগী হয়। বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ট্রে- তে চারা উৎপাদন করার পর মেশিনের মাধ্যমে তা রোপন করা হয়।
এ ব্যাপারে কৃষক মিজানুর রহমান খাঁন জসীম বলেন, ‘এবারই আমরা প্রথম এ মেশিন দিয়ে ধানের চারা লাগাচ্ছি। রোপন ও ফলন ভালো হলে পরবর্তীতে এ মেশিনই ব্যবহার করবো।’
বাহুবল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহিদুল ইসলাম বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে ব্রি- ধান ৮৯ এর ধানের বিজ সরবরাহ করেছি। ৫০℅ ভর্তুকি মূল্যে বিভিন্ন মেশিনও কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। এই মেশিনে অল্প সময় ও খরচে অধিক পরিমাণ জমিতে ধান চাষ করা যায় বলে কৃষকরা অধিক লাভবান হবেন।
একই বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাদির লস্কর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ১ ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। সেই লক্ষে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে উপজেলা পরিষদ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরনের ফলে অল্প খরচ ও সময়ে অধিক উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। এতে কৃষকরা অধিক লাভবান হচ্ছেন।’
মেশিন দিয়ে বোরো ধানের চারা রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধনে আরও উপস্থিত ছিলেন, চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিদ্ধার্থ ভৌমিক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহিদুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্লাবন পাল, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সজীব হোসেন, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল আওয়াল, চন্দনা ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীম আহমেদ প্রমুখ।