চুনারুঘাটে আধুনিক কৃষি যন্ত্রের ব্যাবহার, কৃষকের স্বস্তি 

দেশের কৃষিতেও এখন যুগবদলের হাওয়া। এমন বাস্তবতায় হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলাতেও কৃষি উৎপাদন খরচ সাশ্রয়ে আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার শুরু হয়েছে। এমনকি সরকারের তরফ থেকেও আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। দেয়া হচ্ছে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি। এতে কৃষকদের মাঝে স্বস্তি দেখা দিয়েছে।

বাংলাদেশে কৃষি কাজ অতীব প্রাচীন হলেও ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর খাদ্য চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন কৃষির আধুনিকায়ন যাতে স্বল্প জমিতে কম খরচে অধিক ফসল ফলানো সম্ভব হয়। দিন দিন শ্রমিক স্বল্পতা এবং উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় কৃষি খাত যখন অলাভজনক হয়ে যাচ্ছে সেখানে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার কৃষকদের উৎপাদন খরচ কমিয়ে এনে কৃষিকে লাভজনক করতে পারে।

এ লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এসকল যন্ত্রপাতি দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে যন্ত্র ব্যবহার করণ কৌশলী আব্দুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে জমি সময়মতো প্রস্তুত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ এবং চাষাবাদের খরচের একটি বড় অংশ ব্যয় হয় জমি প্রস্তুত করার সময়। এক্ষেত্রে বীজ বপন যন্ত্র (সিডার) দ্বারা বীজ বপন করলে একই সাথে জমি প্রস্তুত ও বীজ বপন করা গেলে একদিকে খরচ কমানো সম্ভব হবে এবং অন্যদিকে দ্রুত পরবর্তী ফসল চাষে যাওয়া যায় এতে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি পায়।

তিনি বলেন, বিশুদ্ধ, পুষ্ট, রোগ-পোকামাকড়মুক্ত সঠিক জাতের ধান-বীজ উৎপাদন অত্যন্ত শ্রম-সাধ্য ও ব্যয়-সাপেক্ষ হলেও এ ধরণের বীজ ব্যবহারে ধানের ফলন ১০-২০% বৃদ্ধি হতে পারে। ধান গাছের কাংখিত বাড়বাড়তি ও ফসলের অধিক ফলনের জন্যও যথাযথভাবে বীজ গজিয়ে আদর্শ বীজতলায় ধানের সুস্থ্য-সবল চারা উৎপাদন করা সম্ভব।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহিদুল ইসলাম,সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সজিব হোসেন ও কৃষি উদ্যোক্তা মিজানুর রহমান খান প্রমুখ।