ঢাকা পর্ব শেষে দুইদিন বিরতির পর আজ শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) শুরু হলো বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব। ঢাকার মতোই প্রতিদিন দুটি করে খেলা। শুক্রবার জুমার নামাজের কারণে দুটি ম্যাচই শুরু হবে ৩০ মিনিট পরে।
শুক্রবার বেলা ২টায় সাগরিকার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে সাকিবের ফরচুন বরিশাল ও শুভাগত হোমের চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। অন্যদিকে সন্ধ্যা ৭টায় ইয়াসির আলী রাব্বি ও তামিম ইকবালের খুলনা টাইগার্স খেলবে নুরুল হাসান সোহানের রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে।
সবার জানা, ঢাকা পর্বে পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে মাশরাফি বিন মর্তুজার সিলেট স্ট্রাইকার্স। ৪ ম্যাচে অংশ নিয়ে সবকটায় জিতে ৮ পয়েন্ট নিয়ে মজবুত অবস্থান মাশরাফি বাহিনীর।
কাগজে-কলমে চার-পাঁচ নম্বর দল সিলেটের প্রথম পর্বে মাঠে দুরন্ত-দুর্বার হয়ে ওঠার বিপরীতে আছে চ্যাম্পিয়ন ও কাগজে-কলমের এক নম্বর দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দুই ম্যাচে জয়ের স্বাদ না পাওয়া।
শুধু কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সই নয়, পয়েন্ট নেই খুলনা টাইগার্সেরও। বিপিএলে দেশের কোচদের মধ্যে যাদের সাফল্য সবচেয়ে বেশি, সেই খালেদ মাহমুদ সুজন (খুলনার কোচ) আর মোহাম্মদ সালাউদ্দীনের (কুমিল্লার কোচ) ঢাকা পর্বে জয় না পাওয়াও আলোচিত ঘটনা হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।
অন্যদিকে সাকিবের ফরচুন বরিশাল, সোহানের রংপুর রাইডার্স, শুভাগত হোমের চট্টগ্রাম আর নাসির হোসেনের ঢাকা ডমিনেটর্স ২ ম্যাচে একটি করে জয় পেয়েছে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট বরাবরই ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি এবং বিপিএলের ইতিহাস ও পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রতিবারই হাই স্কোরিং গেম হয়। ব্যাটাররা বোলারদের ওপর ছড়ি ঘোরান।
উইকেট আগের মত ব্যাটিং অনুকুল থাকলে যে যে দলের ব্যাটিং সমৃদ্ধ এবং যাদের ফ্রি স্ট্রোক মেকার এবং পাওয়ার হিটার বেশি- তাদের শক্তি বেড়ে যাবে।
এ ক্ষেত্রে শীর্ষে থাকা সিলেট, সাকিব রিয়াদ মিরাজের দল ফরচুন বরিশাল, সোহান ও শোয়েব মালিকের রংপুর এবং লিটন দাসের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স অবশ্যই এগিয়ে থাকবে।
তবে সিলেট ইনফর্ম টপ অর্ডার তৌহিদ হৃদয়কে মিস করবে। শেষ ম্যাচে তালু ফেটে ২ সপ্তাহ মাঠের বাইরে ছিটকে পড়েছেন ২২ বছরের এই তরুণ। তার অনুপস্থিতিতে সিলেটের ব্যাটিংয়ের শক্তি কমবে। এছাড়া তামিম, লিটন, ইয়াসির রাব্বিরাও ঢাকায় তত ভালো খেলতে পারেননি। দেখা যাক চট্টগ্রামের ব্যাটিং উইকেটে তারা রানে ফিরতে পারেন কি না।
তবে পাকিস্তানের দুই আক্রমণাত্মক উইলোবাজ আজম খান এবং ওসমান খানের ব্যাটও চট্টগ্রামে জ্বলে ওঠার সম্ভাবনা খুব বেশি। ঢাকার শেরে বাংলায় এবার উইকেট আগের চেয়ে ভাল ছিল, তাতেই এ দু’জন শতরান করেছেন। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পিচ ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি হলে আজম খান ও ওসমান খানের ব্যাট হবে আরও ধারালো। সব মিলিয়ে ৬ দিনে ১২ ম্যাচে অনেক কিছুই ঘটতে পারে। দৃশ্যপটও বদলে যেতে পারে। এখন দেখা যাক আগামী এক সপ্তাহ চট্টগ্রামে কী ঘটে?