গ্যাস সংকটে ‘ভয়াবহ’ শীতের মুখোমুখি হবে ইউরোপ

ইউক্রেনে রুশ অভিযানের শুরু থেকে হু হু করে বাড়ছে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম। এতে ধুঁকছে ইউরোপ। আসন্ন শীতে তা প্রকট আকার নিতে পারে। এমন সতর্কবার্তা দিয়ে বেলজিয়ামের জ্বালানি মন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম কমানোর উপায় না পেলে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোকে আগামী পাঁচ অথবা দশটি ভয়াবহ শীতের মুখোমুখি হতে হবে। সোমবার (২৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এখবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ইউরোপজুড়ে জ্বালানি সংকটে দাম আকাশছোঁয়া। রাশিয়া ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই গ্যাস ও বিদ্যুৎ নিয়ে বেশ ঝামেলায় পড়লো ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো। মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জবাবে ইইউ’র দেশে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে রুশ গ্যাস কোম্পানি। অথচ গত বছরেই রাশিয়া ৪০ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ করেছিল ইউরোপের দেশগুলোয়। এখন বিকল্প উপায়ের সন্ধানে। জার্মানি বলছে, তারা দ্রুত সমাধানের পথ খুঁজছে।

বেলজিয়ামের জ্বালানি মন্ত্রী টিনে ভ্যান ডের স্ট্রেটেন রবিবার টুইট বার্তা বলেন, ইউরোপের দেশগুলোর উচিত অবিলম্বে গ্যাসের মূল্য কমানো। গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সংশোধনের প্রয়োজন। আমরা যদি এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিই আগামী পাঁচ অথবা দশটি শীত হবে ভয়াবহ। আমাদের অবশ্যই উৎস খুঁজতে হবে, এ নিয়ে কাজ করতে হবে।

শুধু গ্যাস নয়, বিদ্যুতের দামও নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে ইউরোপে, চলতি সপ্তাহে রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে। গ্যাস হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রধান উৎস।

অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহামার বলেন, জ্বালানির বাজারে এই মুহূর্তে যা ঘটছে তা আমাদের বন্ধ করতে হবে।

এদিকে সরবরাহ কমে যাওয়ার মধ্যেও প্রতিদিন প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের গ্যাস পুড়াচ্ছে রাশিয়া। মস্কো সরবরাহ না কমালে এসব গ্যাস ইউরোপে রফতানি হত। জার্মানির অভিযোগ, রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর গ্যাস নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে।