গোলাপগঞ্জে টাকা না পেয়ে ব্যাংকে তালা দিলেন গ্রাহকরা, সড়ক অবরোধ

সিলেটের গোলাপগঞ্জে ন্যাশনাল ব্যাংকে টাকা না পেয়ে ব্যাংকের গেইটে তালা ঝুলিয়ে দেন ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। এসময় ব্যাংকের ভিতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। পরে গ্রাহকেরা প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রাখেন।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পৌর শহরের চৌমুহনীতে ন্যাশনাল ব্যাংকে এঘটনা ঘটে।

গ্রাহকদের অভিযোগ, প্রায় ২ মাস ধরে ন্যাশনাল ব্যাংক পৌর শহরের চৌমুহনী শাখা থেকে তাদের চাহিদা মতো টাকা তুলতে পারছেন না। গত কয়েকদিন ৫ হাজার টাকা করে দিলেও সপ্তাহ খানেক থেকে গ্রাহকদের ৩ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। তবে সেই ৩ হাজার টাকাও ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে অনেকে না পেয়ে ফিরে যেতে হয়।

এদিকে সোমবার সকালে গ্রাহকেরা ব্যাংকে টাকা তুলতে গেলে ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান-ব্যাংকে টাকা নেই। টাকা আসতে দেরি হবে। অপেক্ষার একপর্যায়ে গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যাংকের গেইটে তালা দিয়ে দেন। এতে ব্যাংকের ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। পরে অন্তত শতাধিক গ্রাহক প্রায় আধঘণ্টাব্যাপী সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রাখেন। ফলে সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

খবর পেয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গ্রাহকদের বুঝিয়ে ব্যাংকের গেইটের তালা খুলে দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করেন।

নাম প্রকাশে অচ্ছিুক এক মহিলা গ্রাহক বলেন, ‘আমার ছেলের চিকিৎসার জন্য ব্যাংকের কাছে কান্না করেও টাকা পাইনি। আমাদের টাকা আমরা কেন পাবো না?’

ব্যাংকের আরও এক গ্রাহক বলেন, ‘আমার ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর জন্য টাকা তুলতে এসে টাকা পাইনি। গত ১৫ দিন ধরে এ অবস্থার মধ্যে আছি।’

অভিযোগের বিষয়ে ন্যাশনাল ব্যাংকের ম্যানেজার মো. মুজাম্মেল হক বলেন, সারাদেশে আমাদের ব্যাংকের মতো আরও ৮/১০ টা ব্যাংকে টাকা সংকট। প্রথমদিকে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করতে পারলে বর্তমানে তা সম্ভব হচ্ছে না। গ্রাহকরা আতঙ্ক নিয়ে অনেকেই ব্যাংকে আসছেন, যে কারণে টাকার সংকট থাকায় তাদের চাহিদা ঠিকমত পূরণ করা যাচ্ছেনা। আমার এখানে যতটুকু প্রয়োজন সেটা আমরা সেন্ট্রাল থেকে পাচ্ছি না। কবে নাগাদ এই সমস্যার সমাধান হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি এই ব্যাংক কর্মকর্তা।