সিলেটের গোলাপগঞ্জে ছাদে বাগান করে সফল হয়েছেন জোহরা মমতাজ বেগম। তিনি উপজেলার শেরপুর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরীর সহধর্মিণী।
ছাদবাগানের সফলতায় পেয়েছেন পুরষ্কারও। গত ২৩ জুলাই ঢাকার আগারগাঁওস্থ বনভবনে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপি জোহরা মমতাজের হাতে ক্রেষ্ট, সার্টিফিকেট, ৫০ হাজার টাকার চেকসহ অন্যান্য উপহারাদি প্রদান করেন। এ প্রাপ্তিতে ভীষণ খুশী জোহরা মমতাজ ও তাঁর পরিবার।
জোহরা মমতাজ বেগম ছোটকাল থেকেই নিজ বাড়ির আঙ্গিনা, আত্মীয় পরিজন, পাড়া প্রতিবেশী এমনকি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নানা জাতের গাছের চারা রোপন এবং রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছেন। গ্রামের বিদ্যালয়ের ২ ছেলে শামস ও শ্যামল এবং ১ মাত্র মেয়ে শামসিয়ার পড়ালেখা শেষ হলে তাদের উচ্চ শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ করার লক্ষ্যে সৌদি প্রবাসী ব্যবসায়ী স্বামী সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরীর অর্থায়নে শহরতলীর পীরের বাজার এলাকায় ইউনাইটেড হাউজিং এ স্ব-উদ্যোগে বাড়ি নির্মাণ করেন।
দৃষ্টিনন্দন এ বাড়ীর ছাদ এবং আশপাশ এলাকায় গাছ-গাছালি লাগিয়ে বাড়ীটির সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করতে সক্ষম হন এ গৃহীনি। তাঁর বাড়ীর ছাদের উৎপাদিত ফল-ফুল, শাকসবজি আত্মীয়-স্বজন এবং প্রতিবেশীদের মধ্যে বিতরণ করে এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন জোহরা মমতাজ বেগম।
তার এ ব্যতিক্রমী ছাদের বাগানে সরকারের নজর পড়ে, নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর সিলেট থেকে ঢাকায় ডেকে নিয়ে তাঁকে জাতীয়ভাবে পুরস্কৃত করা হয়।
সহজ, সরল, সাদাসিধে জীবন যাপনে অভ্যস্থ জোহরা মমতাজকে তাঁর এ প্রাপ্তির পিছনে কার অবদান সবচেয়ে বেশী প্রশ্ন করা হলে তিনি তাঁর স্বামী, ছেলেমেয়েদের কথাই বলেন অকপটে। সম্ভবত সিলেট অঞ্চলে ছাদে বাগান করে তিনি প্রথম বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এ বিরল সম্মানের অধিকারী হলেন। এ প্রাপ্তিতে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত হয়ে অন্যান্য গৃহীনিরাও ছাদ বাগান করতে এগিয়ে আসবেন এবং ফল-ফুলে দেশকে সমৃদ্ধ করবেন বলে আশাবাদী সচেতন মহল।