বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম বলেছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদের পতন ও খুনী হাসিনা পালিয়ে গেলেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বাকশালীদের প্রেতাত্মারা বসে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সর্বস্তরের জাতীয়তাবাদী শক্তিকে সজাগ ও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। ৭১ সালের গণহত্যাকারীদের জাতি যেভাবে ক্ষমা করে নাই। তেমনিভাবে ২৪ এর গণহত্যাকারীদের জাতি ক্ষমা করবেনা। বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে দুস্কৃতি করার চেষ্টা করলে পরিণতি ভালো হবেনা। কারণ এব্যাপারে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমান আগামীর বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ ও নতুন বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে চান, সকল স্তরে সুশাসন, উন্নয়ন ও শান্তি নিশ্চিত করতে চান। এক্ষেত্রে তৃণমূল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি শুক্রবার বিকেলে বিয়ানীবাজার উপজেলার লাউতা ইউনিয়ন বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠন আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
লাউতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল, বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট আহমদ রেজা, বিয়ানীবাজার পৌর বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান রুমেল, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার আহমদ ও সহ-সভাপতি আতাউর রহমান।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপি নেতা অহিদ আহমদ তালুকদার, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান চেয়ারম্যান, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আফজল আহমদ, উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ, বিএনপি নেতা জামিল আহমদ, জাকারিয়া আহমদ, সাবেক ছাত্রদল নেতা আব্দুস শুকুর, জেলা ছাত্রদল নেতা রেদওয়ান আহমদ, ছাত্রদল নেতা আবিদ আহমদ, সোহেল আহমদ ও আবেদ রেজা প্রমূখ।
জনসভায় বিয়ানীবাজার উপজেলা ও লাউতা ইউনিয়ন বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।