বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিফতাহ সিদ্দিকী বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এসেছে। আমরা আশা করবো, তারা জনগণের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাবে। গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নাই। গণতন্ত্র হচ্ছে একমাত্র ব্যবস্থা যা জনগণের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে পারে। সেজন্যই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তৈরি করা হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কিন্তু সেই কাজটাতে জনগণের সম্পৃক্ততা থাকতে হবে, জনগণ কী চায়, জনগণ কী ভাবে জিনিসটা দেখতে চায়, সেই বিষয়টা থাকতে হবে।’
তিনি বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ‘আর্ন্তজাতিক গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষে সিলেট বিভাগ বিএনপি আয়োজিত ১৫ সেপ্টেম্বর রবিবারের র্যালী ও সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে সিলেট মহানগর বিএনপির ৪২টি ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ সাথে মতবিনিময় কালে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ছাত্র-জনতার যে অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার চক্রান্ত চলছে। কারা এ কাজ করছে সেটা দেশবাসী জানেন। পতিত ‘ফ্যাসিবাদ’ হাসিনা ভারতবর্ষে আশ্রয় নিয়েছেন এবং সেখান থেকে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বাংলাদেশ সম্পর্কে, বাংলাদেশের মানুষের সম্পর্কে। এই অপপ্রচার কখনও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। বাংলাদেশের মানুষ অবশ্যই প্রতিবাদ করছে, এই ধরনের অপপ্রচারে তারা কোন কান দেবে না বলে, আমরা বিশ্বাস করি।’
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস’ পালনে বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী রবিবার সিলেট বিভাগ বিএনপির উদ্যোগে সিলেটে র্যালী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। র্যালী ও সমাবেশ সফল করা আমাদের প্রত্যেক নেতাকর্মীর দায়িত্ব উল্লেখ করে তিনি সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে র্যালী ও সমাবেশ সফল করার জন্য আহবান জানান।
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নজিবুর রহমান নজিব, সৈয়দ মঈন উদ্দিন সোহেল, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য মূর্শেদ আহমদ মুকুল, হুমায়ুন আহমেদ মাসুক, মাহবুব চৌধুরী, আক্তার রশিদ চৌধুরী, আফজাল উদ্দিন, আবুল কালাম, মহানগর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতিবৃন্দের মধ্য সাদিকুর রহমান সাদিক, মো. লুৎফুর রহমান চৌধুরী, মুফতি রায়হান উদ্দিন মুন্না, শেখ কবির আহমদ, আব্দুর রহিম মল্লিক, মির্জা বেলায়েত হাসান লিটন, শুয়াইব আহমদ সোয়েব, মঞ্জুুরুল হাসান মঞ্জু, মো. লুৎফুর রহমান মোহন, তারেক খান, নাদির খান, আব্দুল ওয়াদুদ মিলন, মিজান আহমদ, মো. নাজিম উদ্দীন, মো. বাচ্চু মিয়া, জাকির হোসেন মজুমদার, আব্দুল মুনিম, আমিনুল ইসলাম, সেলিম আহমদ সেলু, ফখর উদ্দিন পংখি, রাজন মিয়া, বাচ্চু মিয়া, মহানগর ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদকদের মধ্য থেকে মো. রফিকুল ইসলাম রফিক, ফয়েজ উদ্দিন মুরাদ, সাব্বির আহমদ, রাজিব কুমার দে, নজরুল ইসলাম, সৈয়দ লোকমানুজ্জামান, দেওয়ান আরাফাত চৌধুরী জাকি, আব্দুল মালিক সেকু, আবু সাঈদ মো. তায়েফ, সৈয়দ রহিম আলী রাসু, বেলাল আহমদ, জমজম বাদশা, সোলেমান আহমদ সুমন, আব্দুল মান্নান সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে মুহিবুর রহমান মুহিব, আব্দুল মুমিন, মিনহাজুর রহমান রাসেল, আকবর হোসেন কয়সর, ছালেক আহমদ, সাঈদ হোসেন সাবু, সাইফুল আলম, জাহেদ আহমদ, মঈন খান, নুরুল ইসলাম লিমন, নুরুল হক রাজু, মতিউর রহমান শিমুল, ফরহাদ আহমদ, রাসেল খান, ইফতেখার আহমদ পাবেল, সজল আহমদ, শফিকুর রহমান সুমন প্রমুখ।