খোয়াই নদী বর্জ্যমুক্তকরণ শুরু, কথা রাখলেন ব্যারিস্টার সুমন

নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন খোয়াই নদী বর্জ্য ও দুর্গন্ধ মুক্তকরণ করবেন। এমপি হওয়ার পর সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলেন চুনারুঘাট-মাধবপুরের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এমনকি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে পুরাতন খোয়াই নদীর বর্জ্য অপসারণ ও দুর্গন্ধ মুক্তকরণ কার্যক্রম শুরু করলেন তিনি।

প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এমপির বেশ কয়েকজন অনুসারি ১৫ থেকে ২০ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের পাশে থেকে খোয়াই নদীর বর্জ্য অপসারণ শুরু করেন। বেলা দেড়টার দিকে শেষ হয় বর্জ্য অপসারণ ও দুর্গন্ধ মুক্তকরণ কার্যক্রম।

স্বেচ্ছাসেবীদের সাথে নিয়ে বর্জ্য অপসারণ কাজে অংশ নেন, চুনারুঘাট পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক সোহেল আরমান, পৌর ছাত্রলীগের সহ সহসভাপতি রুহেল আহমেদ, চুনারুঘাট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান, সহ সভাপতি কাউসার মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন সহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।

জানা গেছে, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের অতি পূরাতন মরা খোয়াই নদী। ডিসিপি হাইস্কুল এবং মুক্তিযোদ্ধা ভবনসংলগ্ন মরা খোয়াই নদীর ওপর ব্রিজের দুই পাড় দীর্ঘদিন থেকে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছিল। শহরের বিভিন্ন এলাকার ময়লা-আবর্জনা এনে ফেলা হত এ নদীর পাড়ে। নদীর পাড়ে ফেলা ময়লার কারণে সেখানকার পরিবেশ নষ্টের পাশাপাশি ক্রমেই বাড়ছিল নদীর দূষণ। ময়লা-আবর্জনায় ভরাট হয়ে গিয়েছিল নদীর দুই তীর। এতে পড়ে প্রকট হয়ে উঠেছিল নদীর নাব্যতা সংকট। দুর্গন্ধে স্থানীয়দের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছিল।

এমন বাস্তবতায় নির্বাচনের আগে লাখো ভক্ত, অনুসারী ও শুভ্যানুধায়ীর উদ্দেশ্যে মধ্যবাজার মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে এসে পথসভায় দেয়া বক্তব্যে পুরাতন খোয়াই নদীর বর্জ্য অপসারণ ও দুর্গন্ধ মুক্তকরণের ঘোষণা দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। জানান, দুর্গন্ধমুক্ত চুনারুঘাট উপহার দেওয়ার কথা।

তাই এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর পূর্বের ঘোষণার বাস্তবায়নে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের অনুসারীরা সকাল থেকে খোয়াই নদীর বর্জ্য অপসারণ শুরু করেন।

আলাপকালে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এমপি জানান, জনগণের ভোটের দায় মেটাতে যে ইতশেহার ঘোষণা করেছেন তা বাস্তবায়ন করতে শপথ পাঠের পর এলাকায় প্রথম পুরাতন খোয়াই নদী বর্জ্য এ দুর্গন্ধ মুক্তকরণ শুরু করেছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বিশ্বাস; আগে নিজ তাগিদে যেভাবে সফল হয়েছি, এবার জনগণ দায়িত্ব দিয়েছে তাই আরও বেশি করবো ইনশাআল্লাহ।’

প্রসঙ্গত, দেশ ও দেশের বাইরে সমানতালে আলোচিত উচ্চ আদালত ও ফুটবল মাঠে সাফল্যের পর ভোটযুদ্ধে নামেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানাভাবে আলোচিত ও পরিচিতি লাভ করা সুমন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী হয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সদস্য দায়িত্ব পালনসহ সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি।

নির্বাচনে তাঁর কাছে পাত্তাই পাননি টানা দু’বারের সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। প্রথম বারেই ঈগল প্রতীক নিয়ে পরাজিত করে ইতিহাস সৃষ্টি করেন সুমন এমপি।