খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ছিল শেখ হাসিনার লক্ষ্য : গোলাপগঞ্জে নাহিদ

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার প্রধান লক্ষ্য ছিল আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবো। আমরা ভিখারীর মত অন্যের কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে এসে খাবো না। তাই উন্নতমানের বীজ, উন্নত মানের সার নিয়ে এসেছেন বিদেশ থেকে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের বাবা চাচা যারা কৃষিকাজ করেন তাদের হাতে বীজ, উন্নত মানের সার তুলে দিবেন। তারা চেষ্টা করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করবেন এবং আগের চেয়ে আরও চারগুণ খাদ্য উৎপাদন করবে। তাদের কারণেই এখন আমরা খাদ্যে স্বায়ংসম্পূর্ণ। আমরা মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিতে পারি।’

মঙ্গলবার (৩০ মে) বিকেলে গোলাপগঞ্জ পৌরশহরে বিএনপি-জামাতের দেশ বিরোধী কার্যকলাপের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত গণমিছিলে মিছিল পরবর্তী বক্তৃতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন- ‘সিরিয়া এবং ইরাকে ভূমিকম্পে যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমাদের নিজস্ব বিমান দিয়ে রিলিফ টিম, ডাক্তার, ঔষধ-পত্র এবং অন্যান্য জিনিষপত্র দিয়ে সহযোগিতা পাঠিয়েছি। এভাবে অনেক সাহায্য আমরা বাইরের বিভিন্ন দেশে দিচ্ছি। আজকে আমরা ভিখারির জাতি না। আমাদের নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে নিজেরাও চলতে পারি প্রয়োজনে অন্যকেও সহযোগিতা করতে পারি।’

তিনি আরও বলেন, আমাদের কখনো কোন ধরণের সমস্যা হলে খাদ্য পাবো কোথায় আমরা, এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে ১৯ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য মজুদ রেখেছেন। এই বন্যা এসে গেল, যুদ্ধ লেগে গেল, তখন খাদ্য কোথায় পাবো? এজন্য আমরা মানুষের জীবনের নিশ্চয়তা খাওয়া-পরা আগেই নিশ্চিত করেছি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনই বিএনপি-জামাত দেশে বিদেশে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সিলেটে আমার আগেও অনেক এমপি ছিলেন। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর যতটুকু উন্নয়ন হয়েছে, তার আগে কেউ এমন উন্নয়ন করেছে কিনা, তা আপনারাই ভাল বিবেচনা করতে পারবেন। আর এই উন্নয়ন হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টির কারণে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের কারণে মানুষ পূণরায় আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনবে। সে কারণে ভয়ে বিএনপি নির্বাচনে আসবে না।

গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আমিরুল ইসলাম রাবেলের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী ফখরের পরিচালনায় গণমিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনসুর আহমদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রুমেল সিরাজ, লন্ডন মহানগর যুবলীগের সভাপতি তারেক আহমদ প্রমুখ।

এর আগে দুপুর ২টার পর থেকে উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে এসে সমাবেশে যোগ দেন। গণমিছিলে হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।