আন্তর্জাতিক ঠাসা সূচির সঙ্গে টি-টোয়েন্টি লিগও বেড়ে যাওয়ায় এর সঙ্গে পেরে উঠছেন না অনেকে। কঠিন এই বাস্তবতার আরেকটি উদাহরণ হয়ে থাকলেন নিউজিল্যান্ডের পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। ঠাসা সূচিতে পরিবারকে ঠিকমতো সময়ও দিতে পারেন না। পাশাপাশি বর্তমান লিগগুলোর চাহিদাও মেটাতে পারছেন না জাতীয় দলের বাধ্যবাধকতায়। এখন সব দিক ভেবে ব্ল্যাক ক্যাপসদের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিউই পেসার।
কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকলে যেহেতু সর্বোচ্চ সংখ্যক ম্যাচ খেলার বাধ্যবাধকতা থাকে। তাই এখন আর সেই বাধ্যবাধকতায় বোল্টকে পড়তে হচ্ছে না। তাতে বিভিন্ন লিগ খেলতেও ঝামেলায় পড়তে হবে না। তার মানে দাঁড়াচ্ছে বোল্টের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটা এখন অতিমাত্রায় সংক্ষেপিত। অর্থাৎ হয়তো জাতীয় দলে খুব বেশি ম্যাচ খেলতে তাকে দেখা যাবে না।
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডও বোল্টের এই ইচ্ছায় সায় দিয়েছে। ৩৩ বছর বয়সীর সঙ্গে এ নিয়ে বেশ কয়েকবার আলোচনাও হয়েছে এনজেডসি’র। এখন বোল্টের এই সিদ্ধান্তে নিউজিল্যান্ডের গ্রীষ্মের ঘরোয়া মৌসুমে ভালোই প্রভাব পড়বে।
এরই মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকান কোনও লিগে তার সম্পৃক্ততার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যাবে। তবে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড প্রধান নির্বাহী ডেভিড হোয়াইট বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ায় আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাকে খেলানোর সর্বোচ্চ সম্ভাবনার কথা।
ট্রেন্ট বোল্ট বোর্ডকে বলেছেন যে, বাইরে সফরের ক্ষেত্রে তার ইচ্ছেটা সেভাবে নেই। এখন শুধু পরিবারকেই বেশি সময় দিতে চান।
বোল্ট অবসরে না গেলেও এই সিদ্ধান্তের ফলে নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলার সুযোগটা কম পাবেন। ডেভিড হোয়াইটও নিশ্চিত করেছেন যে, বোল্ট এই বিষয়ে অবগত এবং দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে বোর্ড কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় থাকা ক্রিকেটারদেরই প্রাধান্য দেয়।
বোল্ট অবশ্য পরিবারের বিষয়টিকেই প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলেছেন, ‘সিদ্ধান্তটা আমার স্ত্রী ও তিন সন্তানের কথা ভেবেই করতে হয়েছে। যেহেতু পরিবার আমার সব প্রেরণার উৎস সব সময়। তাই পরিবারকে প্রাধান্য দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। এখন ক্রিকেটের পরবর্তী জীবন নিয়ে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।’