আজ সোমবার (১৭ এপ্রিল) সিলেট ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করা হয়েছে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস।
এ উপলক্ষে ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। মুজিবনগর সরকারের ইতিহাস ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন নির্বাচিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থী।
অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল মো. রোঁকনুজ্জমান খাঁন, পিএইচডি, এইসি; ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ, শিক্ষকমণ্ডলী, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির ভাষণে অধ্যক্ষ শুরুতেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক, স্বাধীনতার স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। একইসাথে মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সম্ভ্রম হারানো মা-বোনদের প্রতি অকৃত্রিম সম্মান প্রদর্শন করেন তিনি। মুজিবনগর সরকারের জাতীয় নেতাদের স্মরণ করে তিনি দিবসটির তাৎপর্য ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরে প্রাণবন্ত আলোচনা করেন অধ্যক্ষ।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনার পরে ২৬ মার্চ জাতির পিতা স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। জাতির পিতার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে। আর মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি ও আইনগত ভিত্তি স্থাপনে মুজিবনগর সরকারের কোনো বিকল্প ছিল না। মুজিবনগর সরকারের দূরদর্শী নেতৃত্ব, সাংগঠনিক দক্ষতা, কৌশল ও সময়োপযোগী দিকনির্দেশনার ফলে মুক্তিযুদ্ধ দ্রুততম সময়ে সফল সমাপ্তির দিকে এগিয়ে যায়। এছাড়া এই সরকার প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে তোলে যা মুক্তি সংগ্রামকে বেগবান করে।
তিনি নতুন প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও নিজস্ব ঐতিহ্য হৃদয়ে ধারণ করে সুনাগরিক হওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠান শেষে সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।