পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, সরকার কৃষিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষি বাঁচলে আমরা বাঁচব। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেকোনো প্রকল্প নেওয়ার সময় গ্রামের ও কৃষির উন্নয়ন মাথায় রেখে প্রকল্প নিতে নির্দেশনা দেন এবং সে অনুযায়ী বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এক টুকরো জমিও পতিত এবং অব্যবহৃত না রেখে এই সার ও বীজ কাজে লাগিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে।
শনিবার (১২ নভেম্বর) হবিগঞ্জের লাখাইয়ে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণের উদ্বোধন এবং কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের রবি মৌসুমে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, সয়াবিন, শীতকালীন পেঁয়াজ, মুগ, মসুর ও খেসারী আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে এসব বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ এবং কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, লাখাইয়ের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত সমাবেশ হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিন্টু চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শৈলেন চাকমা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. মুশফিউল আলম আজাদ আজাদ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর হবিগঞ্জের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. নূরে আলম সিদ্দিকী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির বলেন, লাখাইয়ের উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বিশেষ করে লাখাইয়ের কৃষি ও অবকাঠামো খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করা হচ্ছে। সরকারের প্রণোদনার ফলে লাখাই এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন লাখাই রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মো. বাহার উদ্দিন ও গীতা পাঠ করেন গৌতম চন্দ্র রায়। স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শরীফ উদ্দিন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ৬ নম্বর বুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খোকন চন্দ্র গোপ ও শিক্ষক সুভাষ আচার্য।
অনুষ্ঠানে ৫ হাজারেরও বেশি কৃষক ও কৃষাণীর মধ্যে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, থানা পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।