দেশের শীর্ষ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের জন্য একই সাথে সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ। ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের অন্যতম একটি উপাদান বা নিয়ামক হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। বিশ্বের উন্নত দেশসমূহে এর ব্যবহার শুরু হয়েছে। বাংলাদেশেও এর ব্যবহার ধীরগতিতে চলছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যাপক ব্যবহারের ফলে বেকারত্ব বাড়তে পারে। মানুষ বিশেষত যুব বা তরুণ সমাজ অলস হয়ে যেতে পারে। এমনকি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়লে এক পর্যায়ে আমাদের সৃজনশীলতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যা কাম্য নয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) মেট্রোপলিট্রন ইউনিভার্সিটিতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক তথ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এসজে ইনোভেশনের উদ্যোগে ও এমইউ সিএসই সোসাইটির ব্যবস্থাপনায় এআই লঞ্চপ্যাড শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এখন থেকেই আমাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সীমাবদ্ধতা নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স এর সম্ভাবনা ও সীমাবদ্ধতা উভয় নিয়েই কাজ শুরু করেছি। স্কুল অব এপ্লাইড সায়েন্সেস এর বিষয়সমূহও ছাড়াও আইন, ব্যবসায় প্রশাসন ও অর্থনীতিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি কীভাবে কাজে লাগানো যায় আমরা তা নিয়ে কাজ করছি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতার জন্য অ্যামাজনসহ বিশ্বের বিভিন্ন বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান তাদের প্রতিষ্ঠানে এ প্রযুক্তি নিষিদ্ধ করেছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের এখানেও মনোযোগ দিতে হবে; গবেষণা করতে হবে।
এসজে ইনোভেশনের জুনিয়র প্রজেক্ট কোওর্ডিনেটর অনিক কুমার ও ফ্রন্ট এন্ড ডেভেলপার সুস্মিতা দাসের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসজে ইনোভেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব শাহেদ ইসলাম, এসজে ইনোভেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠানটির প্রধান পরিচালন কর্মর্কতা শাহেরা চৌধুরী, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান মাহফুজুল হাসান, সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ফুয়াদ আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টা প্রফেসর চৌধুরী মোঃ মোকাম্মেল ওয়াহিদ, প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের জন্য কুইজ প্রতিযোগিতা ও বিজয়ী শিক্ষার্থীদের জন্য পুরষ্কার বিতরণের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এসজে ইনোভেশনের বাংলাদেশ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকমন্ডলী ও এমইউ সিএসই সোসাইটির সদস্যরাসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বর্তমান বিশ্বের প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা কীভাবে আমূল পরিবর্তন সাধিত করেছে এবং বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম কীভাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা অর্জন করতে পারে তার উপর গুরুত্ব দিয়ে এসজে ইনোভেশনসহ এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে স্বাগত জানান।