কুলাউড়ায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় দুর্ভোগে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন সাবেক এমপি ও ঠিকানা গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এম শাহীন। তিনি ২৭ জুন থেকে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত বানভাসিদের কাছে ছুটে যাচ্ছেন।
ধারাবাহিক ত্রাণ বিতরণের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৮ জুন) ব্রাহ্মণবাজারের জালালাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়, মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইউছুফ তৈয়বুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শ্রীপুর জালালীয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসা আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে যান।
এর আগে সোমবার প্রথম দিন কুলাউড়া পৌর এলাকার রাবেয়া আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিএইচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইয়াকুব তাজুল মহিলা ডিগ্রি কলেজ, কাদিপুর ইউনিয়নের মহতোছিন আলী স্কুল এন্ড কলেজ, ছকাপন স্কুল এন্ড কলেজ, কাদিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাশিমপুর মাদ্রাসা, উছাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরতদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেন।
এসময় এম এম শাহীন বন্যা দুর্গতদের খোঁজ খবর নেন। তিনি কুলাউড়াকে বন্যাদুর্গত এলাকা হিসেবে ঘোষণার দাবি জানান।
তিনি আরো বলেন, ‘বন্যায় কুলাউড়ার চিত্র কতটা ভয়াবহ স্বচক্ষে না দেখলে বলা মুশকিল। কুলাউড়া উপজেলায় বানভাসি মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখে আমিও মর্মাহত। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের এই দুঃখ দেখে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগ ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এবং প্রবাসীরা সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাদেরকে কুলাউড়াবাসীর পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’
ত্রাণ বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন- কাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহমদ গিলমান, রাজনীতিবিদ সৈয়দ তফজ্জুল হোসেন তফই, আব্দুল আজিজ চৌধুরী শামীম, প্রেসক্লাব কুলাউড়ার সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আবু সাঈদ ফুয়াদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আলাউদ্দিন কবির, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম চৌধুরী, কাদিপুর ইউপি সদস্য খসরু মিয়া, আতিকুল ইসলাম, ফাহিমুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য বেদেনা বেগম, ব্যবসায়ী সোহেল আহমদ, মেহেদী হাসান খালিক, হুমায়ুন রশীদ রাজন, সংগঠক ফয়েজ আহমদ, আশিকুল ইসলাম বাবু, আব্দুল ওয়াহিদ তালিম, রিফাজ রহমান অমিত প্রমুখ।