কানাইঘাটে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয়, পাশের হার ৬৭.৬৬%

সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় কানাইঘাট উপজেলার ২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার্থীদের ফলাফলে সন্তোষ্ট নন অভিভাবকরা। সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পাশের হার বিবেচনা করলে ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে কানাইঘাটে। গতবারের চেয়ে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়লেও এবার কমেছে পাশের হার।

গোটা উপজেলায় মোটে ৫২ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। ২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২৪’শ ৯ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছেন ১৬৩০ জন পরীক্ষার্থী। উপজেলার এসএসসি পরীক্ষার পাসের হার ৬৭.৬৬।

সার্বিক ফলাফলের দিক থেকে কানাইঘাট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় উপজেলা পর্যায়ে শীর্ষস্থান দখল করেছে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ১১৯ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ১০৭ জন কৃতকার্য হয়েছেন ও সর্বোচ্চ ১৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

এদিকে, ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে পৌর শহরে অবস্থিত কানাইঘাট পাবলিক হাইস্কুলে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৬০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছেন মাত্র ২৪ জন। জিপিএ-৫ পায়নি কোন শিক্ষার্থী।

উপজেলার একমাত্র মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রামিজা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০৫ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৫৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ পায়নি কোন শিক্ষার্থী।

তবে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করেছে আলহাজ্ব বশির আহমদ উচ্চ বিদ্যালয়। মফস্বল এলাকায় অবস্থিত এ প্রতিষ্ঠান থেকে ১২০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৯১ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। তার মধ্যে ৭ জন পেয়েছে জিপিএ-৫।

এসএসসি পরীক্ষায় ফলাফল সন্তোষজনক না হওয়ার পেছনে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকদের সিলেট শহরে বসবাস করাকেই দায়ী করছেন অনেকে ।তাদের দাবী, সময়মত অনেক প্রধান শিক্ষক স্কুলে না আসায় ও শিক্ষকদের পাঠদানে তদারকি না করার ফলাফলে এমন বিপর্যয়।

আবার ফলাফল বিপর্যয়ে অভিভাবকদের গাফিলাতি রয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।

এ সবকিছু ছাপিয়ে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় কানাইঘাটের ১৩টি মাদ্রাসা থেকে ৬৭০ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে ১০টি জিপিএ-৫ সহ ৫১০ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছেন। উপজেলার দাখিল পরীক্ষার পাসের হার ৬৭.৬৬। তারমধ্যে কানাইঘাট মনসুরিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে সর্বোচ্চ ১০৭ জন শিক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩ টি জিপিএ-৫ সহ ৭৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছে।